- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বঙ্গে সভাপতি পদে ব্যাপক রদবদল গেরুয়া শিবিরের, কারা হলেন নতুন জেলা সভাপতি?
বঙ্গে সভাপতি পদে ব্যাপক রদবদল গেরুয়া শিবিরের, কারা হলেন নতুন জেলা সভাপতি?
BJP Districts President: ২৬-এর নির্বাচনের আগে নতুন প্রাণ আনার চেষ্টা চলছে রাজ্য বিজেপিতে সেই লক্ষ্যেই নতুন সভাপতি পদে গুরুত্ব দিচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। কারা হলেন বিজেপির নতুন জেলা সভাপতি? বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

রাজ্য বিজেপিতে নতুন সভাপতি
রাজ্য বিজেপিতে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই চলছিল জোরদার চর্চা। নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৈরি হতে চলেছে রাজ্য কমিটির নতুন রূপরেখা। কারা হবেন সাধারণ সম্পাদক, কারা বাদ পড়বেন, এবং কোন পুরোনো মুখেরা ফিরতে পারেন—তা নিয়ে এখনও চলছে জোর কাটাছাঁট। সূত্রের খবর, শমীকের পছন্দের তালিকা নিয়ে দলে চলছে টানাপড়েন। একসময় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে শমীকের জুটির অংশ ছিলেন যিনি, সেই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিরও ভূমিকা থাকছে এই কমিটি গঠনে। ফলে পুরোনো সম্পর্ক আর রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন কমিটিতে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কারা হলেন নতুন সভাপতি?
বিজেপি সূত্রে খবর, পুরনোতেই ভরসা শমীকের। রাজ্য বিজেপিতে চার জেলায় নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করলেন সদ্য নির্বাচিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কারা হলেন নয়া সভাপতি? জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের সভাপতি হচ্ছেন সঞ্জীব তামাং। বারাসাতের জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ এবং বনগাঁর জেলা সভাপতি বিকাশ ঘোষ।
পুরনোতেই প্রাধান্য শমীকের
জানা গিয়েছে, চার জেলার মধ্যে তিন জেলার জন্য সভাপতি বাছাইয়ে পুরনো মুখেই ভরসা রেখেছেন শমীক ভট্টাচার্য। দার্জিলিং এর সভাপতি সঞ্জীব তামাং বিজেপিতে যোগ দিলেও আগে বিমল গুরুংয়ের দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এছাড়া বনগাঁ ও বারাকপুরের জেলা সভাপতি পদে পুরনোতেই আস্থা রেখেছেন। তবে ঘাটালে জেলা সভাপতি পদে কোনও রদবদল করা হয়নি।
মিডিয়া সেলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও রদবদল
আগেই জানা গিয়েছিল যে, নতুন কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন কিছু পুরনো, হারিয়ে যাওয়া নেতা ও আগের শাস্তিপ্রাপ্ত নেতারা। শাস্তি প্রত্যাহারের অনুমোদন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে জোগাড় করেছেন শমীক, এমনটাই সূত্রের দাবি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠকেও এই কমিটি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বদল আসছে বিজেপির বিভিন্ন মোর্চা সভাপতির পদেও। বিশেষ করে প্রধান মুখপাত্রের পদে বদল অবধারিত, কারণ এই পদে আগে ছিলেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক নিজেই। মিডিয়া সেলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও রদবদল হতে চলেছে।
নতুন কমিটি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি
দলের একাংশ মনে করছে, তৃণমূল যেভাবে "বাঙালি অস্মিতা"র রাজনীতিকে হাতিয়ার করছে, তার পাল্টা হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীকে বিজেপির মুখ করে প্রচারে নামানো হোক। অনেকেই আবার চাইছেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হোক। তবে বয়স, কর্মব্যস্ততা এবং দলের অন্দরের মতবিরোধ—এই তিনটি বিষয়েই তৈরি হতে পারে নতুন বিতর্ক। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এই সমস্ত দিক বিবেচনা করে কী পদক্ষেপ নেয় এবং নতুন কমিটি রাজ্যে দলের ভিত কতটা মজবুত করতে পারে।
