Kalyani Crime News: স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। সাত অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা শোনাল  কল্যাণীর আদালত। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Crime News: স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ৭ অভিযুক্তকে ২০ বছর জেল। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ১ বছরের হাজতবাসের সাজা শোনালো কল্যাণী এডিজে আদালত। উত্তর ২৪ পরগণার কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে নদীয়ার কল্যাণীর দিকে রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন স্বামী-স্ত্রী। অভিযোগ,সেই সময় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ওপর অবস্থিত রেল ব্রিজের নিচে কয়েকজন পথ আটকায়। অভিযোগ, এরপর ওই ব্যক্তিরা বিবাহিতা তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় রেল ব্রিজের তলায় এক ঘন জঙ্গলে। সেখানে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এরপর কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার কাঁচরাপাড়া এলাকায়। অভিযুক্তদের বাড়িও কাঁচরাপাড়া এলাকায়। কিন্তু ঘটনাটি ঘটে কল্যাণী থানার অধীনে। বিবাহিতা তরুণীর অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার দিনই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরপর কল্যাণী আদালতে চলছিল মামলা। বৃহস্পতিবার কল্যাণী এডিজে আদালত ৭ জনকে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুক্রবার ৭ জনকে যাবজ্জীবনের সাজা(২০ বছর) ঘোষণা করলেন অতিরিক্ত দায়ের জেলা বিচারক সুবের্থী সরকার।

সরকারি আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘’এই গণধর্ষণ মামলায় কল্যাণী এডিজে আদালত ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। শুক্রবার দোষীদের যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করা হয়। রেল ব্রিজের তলায় দোষীরা জুয়া খেলছিল। স্বামী-স্ত্রী রেললাইন ধরে আসছিল। সেই সময় দোষীরা দম্পত্তির পিছু নেয়। পথ আটকায়। এবং স্বামীকে আটকে গণধর্ষণ করে। ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ৭ মাসের মধ্যে গণধর্ষণ ঘটনায় সাজা ঘোষণা করা হল।''

অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুনের ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দেশরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয় দেখিয়ে ঈশিতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাপ দিত। কোমরে পিস্তল গোঁজা ছবি প্রকাশ করে ও বন্ধুদের মাধ্যমে সেই ছবি পাঠিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করত সে। বারংবার ভয় দেখানো সত্বেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে রাজি ছিল না ঈশিতা। অবশেষে পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণনগরে ঈশিতার বাড়িতে ঢুকে পর পর তিনটি গুলি করে খুন করে ঈশিতাকে।

তবে এখনও পর্যন্ত দেশরাজকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে মরিয়া কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, দেশরাজ গুজরাটে লুকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার তিনটি বিশেষ পুলিশ দল গুজরাটে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করেছে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার জন্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।