সংক্ষিপ্ত

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের ব্যাগে কন্ডোম, বিয়ারের বোতল, হাজার হাজার টাকা! পরের পর ঘটনায় তোলপাড় রায়গঞ্জ

সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগে মিলল কন্ডোম! আঁতকে উঠলেন শিক্ষিক-শিক্ষিকারা। এরপরেই ডেকে পাঠান হয় ছাত্রীদের অভিভাবকদের। এরপর নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয় পড়ুয়ারা।

আসলে কন্ডোম নিয়ে কৌতুহল হয়েছিল, তাই নিজেদের দোকান থেকে কন্ডোমের বেশ কয়েকটি প্যাকেট নিয়ে আসে এক ছাত্রী। তারপর অন্যরা টাকা দিয়ে একটা করে কিনে নেয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই আর মুখ খোলেননি কৃর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে শহরের আরেকটি স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্রীর ব্যাগ থেকে পাওয়া গেল বিয়ারের বোতল। স্কুলে এসে লুকিয়ে বিয়ার খেতেই ধরা পড়ে যায় ছাত্রীটি।

শুধু তাই নয় আরও একটি স্কুল ছাত্রীর মোজার ভিতর থেকে পাওয়া যায় ১৯ হাজার টাকা! পরে ডেকে আনা হয় অভিভাবককে। কিন্তু কেন তার মোজায় এতো টাকা রাখা ছিল তা জানতে পারেনি শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

এরকম পরের পর তাজ্জবজনক ঘটনা ঘটছে রায়গঞ্জের স্কুলে স্কুলে। ছাত্রচাত্রীদের কর্মকাণ্ড দেখে রীতিমতো চক্ষুচড়কগাছ হয়েছে সকলের।

এ প্রসঙ্গে, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ আমাদের সামাজিক অবক্ষয় হয়েছে, এটা স্বীকার করে নিতে হবে। তাই চটকদারি বেড়েছে। আজকাল অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে গিয়েছে, ফেরাতে হবে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আমাদের বন্ধু বলে মনেই করছে না। অথচ তাত্ত্বিক ভাবে আমরাই ওদের গাইড, ফিলোজফার, ফ্রেন্ড। কোভিডের পরে সমাজে বহু ক্ষতি হয়েছে। তাই অভিভাবকদের বলব, চূড়ান্ত ব্যস্ততার সময়েও সন্তানদের সাহচর্য দেন। শাসন নয়, ভুলভ্রান্তিকে ভালোবেসে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কিশোর-কিশোরী বয়সকে মূল ট্র্যাকে ফেরানোর একমাত্র উপায় হল তাদেরকে সময় দিন।”