সংক্ষিপ্ত
বিশেষ মনিটারিং সেলে-এর কাজ- রাজ্যের কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা বা অশান্তির ঘটনা ঘটে গেছে তদন্তের সময় সেই এলাকা সিসি ক্যামেরার ওপর ভরসা করে পুলিশ।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ প্রশাসন নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। সরব হচ্ছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নবান্নে বসেও গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ওপর কড়াভাবে নজর রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই নবান্নের পাশেই ডিজি-র কন্ট্রোল রুমে তৈরি হচ্ছে বিশেষ মনিটারিং সেল। নবান্ন সূত্রে পাওয়া গেছে এমনই খবর। এই বিশেষ মনিটারিং সেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই।
বিশেষ মনিটারিং সেলে-এর কাজ- রাজ্যের কোনও জায়গায় কোনও দুর্ঘটনা বা অশান্তির ঘটনা ঘটে গেছে তদন্তের সময় সেই এলাকা সিসি ক্যামেরার ওপর ভরসা করে পুলিশ। মূলত জেলা পুলিশ থেকে মনিটারিং করা হয়। কিন্তু বড় ঘটনা ঘটলে জেলা পুলিশের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। ধাপে ধাপে সেই রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছায়। আর সেই কারণে অনেক সময় দেরি হয়। এই দেরি যাতে আর না হয় তার কারণেই নবান্ন থেকেই গোটা রাজ্যে নজর রাখা হবে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ মনিটারিং সেল।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে নবান্নের পাশেই ডিজি কন্ট্রোলরুমে তৈরি হচ্ছে বিশেষ মনিটারিং সেল। সূত্রের খবর ওয়েবেল-সহ তিনটি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এই বিশেষ মনিটারিং সেল তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকছে। পুলিশের এক বড় কর্তা জানিয়েছেন, চুরি-ডাকাতি-সহ যে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। জেলা পুলিশ তার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে। যেমন, হাওড়া গ্রামীণে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানকার জেলা পুলিশ তা ‘মনিটর’ করে। তবে এ বার আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে পুরো ব্যবস্থাকে। আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রেখে এটা একটা বড় উদ্যোগ।
২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই বিশেষ মনিটারিং রুমের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিসিক্যামেরা। কারণ অনেক জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই। আবার কোথাও কোথায় চা অচল। ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরা সম্পর্কে সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।