সংক্ষিপ্ত

কৃষ্ণনগরে মা দুর্গার মূর্তি কেটে টুকরো টুকরো করে ভাসানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পৌরসভার কর্মীরা করাত দিয়ে মূর্তি কেটে টুকরো টুকরো করে ভাসাচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র প্রতিবাদ।

মা দুর্গার মূর্তি কেট কুচি কুচি করে ভাসানো হল জলে। ভিডিও ভাইরাল হতেই সকলের মুখে ছিঃ ছিঃ শোনা গেল। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতিমা এসে পৌঁছে গিয়েছে গঙ্গার ধারে। সেই দেখা যাচ্ছে, প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে করাত দিয়ে দেবীর হাত কেটে ফেলা হচ্ছে। এরপর টুকরো টুকরো করে তা কেটে জলা ভাসিয়ে দেওয়া হল। এই নিয়ে বিশেষ পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি লেখেন, ছিঃ ! ছিঃ ! ছিঃ !

এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার। আগে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন না করে, প্রতিমাকে যন্ত্রের সাহায্যে অসভ্যের মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলা হয়েছে। গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পৌরসভার নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা এভাবেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমা কে কেটে টুকরো করে ভাসান করেছে।

ঠিকঠাক ভাবে শাস্ত্র মত ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিষ্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারুরই কোনো আপত্তি থাকতো না, কিন্তু তা না করে সর্বসমক্ষে এই কান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কি?

এই ভাবে সরাসরি সনাতনীদের আস্থায় আঘাত হানা ন্যক্কারজনক। এর আগে রাণাঘাটে ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বন্ধ করেছে তৃণমূলের প্রশাসন, গতকালের এই ঘটনা নবতম সংযোজন।

তিনি আরও লেখেন, মমতা ব্যানার্জীর আর তার প্রশাসন যদি ভেবে থাকে এই ভাবে হিন্দুদের আস্থা এবং বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানতে থাকবে আর হিন্দুরা সেটা মেনে নেবে, আর সেটা হবে না। আমি সকল হিন্দু ভাই বোনদের কাছে আবেদন করছি আপনারা এবার জাগ্রত হন। এই হিন্দু বিরোধী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এবার একত্রিত হয়ে আওয়াজ ওঠানোর সময় এসেছে।

প্রকাশ্যে আসা এই ভিডিও-র সত্যতা এখনও যাচাই করা হয়নি। তবে, এমন ঘটনা নিন্দনীয়।