রোগীকে সুস্থ করার অছিলায় নানা কারসাজি শুরু করে ওঝা। জল পড়া দিয়ে চলে সুস্থ করার চেষ্টা। সঙ্গে চলে তন্ত্র মন্ত্র। এভাবেই কেটে যায় বেশ খানিক ক্ষণ। ঘটনার খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশও পৌঁছে যায় ওঝার বাড়িতে।

সাপে কাটা মহিলাকে ভালো করে দিতে নানা কেরামতি দেখাতে শুরু করেছিল ওঝা। সময় যেতেই নিস্তেজ হতে থাকে মহিলা। খবর পেয়ে পুলিশ আসতেই ওঝার অবস্থা দেখে সকলেই হাসাহাসি করতে লাগলেন। কেউ কেউ তো অবাক। পুলিশের হাত পা ধরে সে কি কান্নাকাটি ওঝার। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আকুতি জানাতে থাকে । তবে জানা যায়, একাজের জন্য ওঝাকে গ্রেফতার না করে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সময় মত আনায় এযাত্রা রক্ষা পেলেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগের অন্তর্গত মায়াপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ডিহিবায়রা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ডিহিবায়রা গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা সংসারে কাজ করার সময় একটি বিষধর একটি সাপ তাঁর হাতে ছোবল দেয়। জানা যায়, সাপটি ওই মহিলার হাত কামড়ে ধরে থাকে। উপস্থিত বুদ্ধিতে সাপের মুখ থেকে হাত ছাড়িয়ে নেয় ওই মহিলা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শরীর অবসন্ন হয়ে পড়তে থাকে । পবিবারের সকলে মিলে ওই সাপে কাটা মহিলাকে হাসপাতালে না নিয়ে ছুটল পাড়ার এক ওঝার বাড়ি। ওই রোগীকে সুস্থ করার অছিলায় নানা কারসাজি শুরু করে ওঝা। জল পড়া দিয়ে চলে সুস্থ করার চেষ্টা। সঙ্গে চলে তন্ত্র মন্ত্র। এভাবেই কেটে যায় বেশ খানিক ক্ষণ। ঘটনার খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশও পৌঁছে যায় ওঝার বাড়িতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ দেখে অবস্থা খারাপ হয়ে যায় ওঝার। চোখমুখ তার শুকিয়ে যায়। পায়ে ধরে মাফ চেয়ে রীতিমত পুলিশের সামনে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় ওঝা। জানায় ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না। এরপরই এই কাজের জন্য ওঝাকে পুলিশ সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি ওই সাপে কাটা মহিলাকে নিয়ে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রোগীকে দেখে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন আর কিছুটা সময় নষ্ট হলেই বাঁচানো সম্ভব হত না ওই মহিলাকে। মহিলা এযাত্রা বেঁচে যাওয়ায় প্রশাসনের তৎপরতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।