সংক্ষিপ্ত
মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নতুন লেখক, লেখিকাদেরও উৎসাহিত করে বলেন, অনেকে বলেন উনি ছোট লেখক, উনি বড় লেখক। কিন্তু ভুললে চলবে না, অনেক ছোট লেখক-লেখিকাদের হাত দিয়েও অনেক সুন্দর লেখা বেরোয়।
'কলকাতা বইমেলা দেশের সেরা', উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, আমি মনে করি বইমেলা আমাদের গর্ব। বই ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গ্রাইড। আমি মনে করি বইমেলা আমাদের গর্ব। বইমেলা আমাদের হৃদয়ে উত্সারিত এক সরণী।মঙ্গলবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে সমস্ত বইপ্রেমীদের ‘বই শুভেচ্ছা’ জানিয়ে বলেন,এই বইমেলা শুধু বইয়ের মেলাই নয়, বটবৃক্ষের মতো। যা ঐতিহ্য, সংস্কৃতির ধারাবাহিকতাকে বয়ে নিয়ে চলেছে। বৃক্ষ যেমন হাজার হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দে। বৃক্ষ কিন্তু অনেক ঘটনার সাক্ষী থাকে। বৃক্ষ কথা বলতে পারে না। শুনতে পায়, দেখতে পায়। বই কিন্তু কথা বলে, বই কিন্তু দেখতে পায়। আজও যতই ডিজিটাল আসুক, বইয়ের কথা কেউ ভুলতে পারি না। যেবাড়িতে বই সাজানো থাকে না, কী কী রকম একটা লাগে।
এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নতুন লেখক, লেখিকাদেরও উৎসাহিত করে বলেন, অনেকে বলেন উনি ছোট লেখক, উনি বড় লেখক। কিন্তু ভুললে চলবে না, অনেক ছোট লেখক-লেখিকাদের হাত দিয়েও অনেক সুন্দর লেখা বেরোয়। প্রত্যেক লেখকের সৃষ্টিই স্বকীয়তায় সম্পূর্ণ।বই মানে বই-ই। এখানে কোনও ভেদাভেদের জায়গাই নেই। আগামিকাল বুধবার থেকে বইমেলা উন্মুক্ত হবে সাধারণ মানুষ ও বইপ্রেমীদের জন্য। ৯ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কলকাতা বইমেলা।
মেলায় প্রবেশের জন্য মোট ৯ টি প্রবেশ পথ। মেলায় মোট স্টল ৬৫৫। মেলার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে দৈনিক পুলিশ কর্মী থাকছে প্রায় দেড় হাজার। থাকছে ৩ টি ওয়াচ টাওয়ার। দমকলের গাড়ি ছাড়াও দুটি ফায়ার কমব্যাট বাইক। লিটল ম্যাগাজিনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩০০০ বর্গ ফুট প্যাভিলিয়ন । বইমেলা উপলক্ষ্যে শহরে ২০ রুটে চলবে স্পেশাল বাস। মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী, এবারও রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে। এ দিন বইমেলা উদ্বোধনের পাশাপাশি জাগো বাংলার স্টল, কলকাতা পুলিশের স্টলও ঘুরে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।