জোড়াফুলের বিরুদ্ধে ভোটের আগে যারা গুজুর-গুজুর ফুসুর-ফুসুর করে গ্রামে একঘরে করে দেবেন তাঁদের। দলের একাংশের প্রতি তৃণমূল সাংসদ এমন বার্তা দিতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি শিবিরের নেতারা।
দলে বিশ্বাসঘাতকদের একঘরে করে দেওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে একঘরে করার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। শনিবার বিকালে বাঁকুড়ার বিকনা হাইস্কুল মাঠে মহিলা তৃণমূলের একটি সভায় গিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তিনি বলেন, জোড়াফুলের বিরুদ্ধে ভোটের আগে যারা গুজুর-গুজুর ফুসুর-ফুসুর করে গ্রামে একঘরে করে দেবেন তাঁদের। দলের একাংশের প্রতি তৃণমূল সাংসদ এমন বার্তা দিতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি শিবিরের নেতারা।
সামনের বছরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। নিজেদের পালে হাওয়া তুলতে সব রাজনৈতিক দলই মাঠে নেমে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে গোষ্ঠীকোন্দলের খরব মিলতেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে । প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরে বকেয়া চাইতে গিয়ে মাথা ফাটে প্রাক্তন পুরকর্মীদের। যে ঘটনায় উঠে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ। অন্যদিকে খয়রাশোলে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতেও সামনে এসেছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে বাংলা জুড়ে। এবার তৃণমূল সাংসদ অরূপ বিশ্বাসের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অনেকেই প্রকাশ্যে না বললেও সমস্যার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই। ভোটের আগেই দলের পরিস্থিতি সামাল দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন জেলার নেতারা।বাঁকুড়ার বিকনায় মহিলা তৃণমূলের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে সাংসদ একপ্রকার দলের নেতা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। তিনি বলেন, দল করতে হলে করতে হবে একটা দলই । সারা বছর তৃণমূল করে আর ভোটের সময় টিকিট না পেলে অন্য দলে চলে যাওয়া এমন কর্মীদের দরকার নেই আমাদের। যারা এমন বেইমানি করে তাদের সতর্ক করে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, তাদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে। দলের একাংশের প্রতি তৃণমূল সাংলদের এমন ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলছেন,টাকা-পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতাটুকুও নেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
