সংক্ষিপ্ত

'রাতে মোট ৭-৮ জন ছিল' এবার মুখ খুললেন এক রোগীর পরিবার! আরজিকরকাণ্ডে হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরজিকর কাণ্ডে একজন নয় জড়িত রয়েছেন অনেকে। প্রথম থেকেই এই সন্দেহই দানা বেঁধেছিল সিবিআইয় আধিকারিকদের মনে। এবার এমন এক ঘচনা গেল যা পুরো ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এবার মুখ খুললেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর পরিবার।

জানা গিয়েছে ওই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মিঠু দাস নামের এক রোগী। তাঁর ছেলের মুখ থেকে জানা গিয়েছে যে ঘটনার দিন পরায় রাত ১ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও নিরাপত্তা রক্ষী মিলিয়ে প্রায় ৭ জন জেগে ছিলেন। ওই দিন মিঠু দাসের স্লিপ স্টাডি পরীক্ষা করা হয়, তাই সেই সূত্রে ওখানেই ছিলেন তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে মিঠু দাসের ছেলে জানান, " স্যার বলেছিলেন, সন্ধ্যাবেলা থেকে পরীক্ষা করা হবে। ৬.৫০ মিনিট নাগাদ থেকে পরীক্ষা চালু হয়। মায়ে শুয়ে পড়ে। ডাক্তারবাবু মেশিন লাগিয়ে দিয়ে বলেন, যদি মা নাড়াচাড়া করে, মেশিন খুলে যায়, তাহলে আমি এসে ঠিক করে দেব। ১২.১৫ মিনিট নাগাদ থেকে আমি স্যরকে ফোন করি, ২-৩ বার ফোন করি, স্যর ফোন রিসিভ করেননি। ডাক্তারবাবু সাড়ে বারোটা নাগাদ চলে আসেন। মেশিন খুলে দেন। মাকে বেডে দিয়ে চলে যাই।"

সেমিনার রুম প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করত সায়ন জানান, " সেমিনার রুমের দরজা ভেজানো, ঘর একদম ফাঁকা ছিল। কেউ ছিলেন না। বাইরের দিকে দু’জন সিস্টার দিদি বসে ছিলেন। স্লিপ স্টাডি রুমের পাশেই আবার ICU রুম চেস্ট ডিপার্টমেন্টের। সেখানেও লোক ছিল, দরজা বন্ধ ছিল। চেস্ট ICU-এর সামনে ওয়ার্ডের যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা চেয়ারে বসে ছিলেন। মাকে নিয়ে যখন বেরিয়ে আসছিলাম, রুমের বাইরে দুজন সিস্টার দিদি বসেছিলেন। ওঁরা জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এদিকে কোথায় ছিলেন? আমি বললাম, মা ভর্তি ছিল। বেড নম্বরও জিজ্ঞাসা করেন। বহিরাগত কাউকে দেখিনি। ওখানকার স্টাফ, সিস্টার দিদি, আমি আর আমার মা ছিলাম। একজন সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন। মধ্যিখানে স্লিপ স্টাডি চলার সময়ে একজন এসেছিলেন। ওঁদের ইউনিটের একজন এসেছিলেন। ঘর অন্ধকার ছিল বলে মুখ দেখা যায়নি। কোনও ইন্টার্ন আসেননি। ড. অর্ক সেন ছাড়া চেস্টেরই আরেকজন ডক্টর এসেছিলেন। তিনি অর্ক স্যরের খোঁজেই এসেছিলেন।”

অর্থাৎ রাত ১ টা পর্যন্ত সেমিনার রুম চত্বরে লোকজন ছিল। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য দিতে পারেনি চেস্ট মেডিসিনের পিজিটিরা। সকলেই অসহযোগীতা করছেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন রাত ১১টার পরে খাওয়া সেরে যে যার মতো বিশ্রাম নিতে চলে যায়। কিন্তু এই তথ্যের সঙ্গে সায়ন দাসের তথ্য মিলছে না।

আরও বড় প্রশ্ন হল স্লিপ স্টাডি পরীক্ষা সাধারণত সারা রাত ধরে চলে। কিন্তু মিঠু দাসের ক্ষেত্রে কীভাবে তা সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে বারোটাতেই শেষ হয়ে গেল? কেন সন্ধে থেকে পরীক্ষা নেওয়া হল এই রোগীর? কেনই বা অর্ক সেনকে ফোন করে পাওয়া গেল না। সব মিলিয়ে ফের গভীর রহস্যের সমাধান খুঁজছে সিবিআই।