Hooghly Death News: ঠাকুর আনতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। পুজো শুরুর আগেই সব শেষ হুগলীর পোলবায়। কী ঘটেছে? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Hooghly Death News: ঠাকুর আনতে গিয়ে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। তিনজনের মৃত্যু। ঘটনায় আহত আরও তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলী জেলার পোলবার অনন্তপুরে। চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়েছিলো পোলবার শঙ্করবাটি গ্রামের বারোয়ারীর সদস্যরা। শঙ্করবাটি হাইস্কুলে দুর্গা পুজো হয়।

জানা গিয়েছে, ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও পিছনে থাকা চারচাকা গাড়িটি তখনো যায়নি। সেই গাড়িতে চালক সহ ছয়জন ছিলেন। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, অনেক দেরি হচ্ছে। তখনও চারচাকা গাড়ি কেন ফিরছে না দেখে ওই গাড়িতে থাকা একজনকে ফোন করা হয়। পুলিশ ফোন ধরে এবং জানায় যে দুর্ঘটনা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছায়। তাদের উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

শুক্রবার মধ্যরাতে চন্দননগর রেল ওভার ব্রীজ থেকে নামার সময় রাস্তার পাশে থাকা ইটের পাঁজায় সজোরে ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। বাকি চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। একজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে চুঁচুড়া হাসপাতালে।

মৃতদের নাম,ভাস্কর দেবধারা(২৯)বাড়ি সুগন্ধার শঙ্করবাটি,প্রীতম চক্রবর্তী(৩০) ও স্বপন দে(৪০) চন্দননগর কাঁটাপুকুর।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে চন্দননগর থানার পুলিশ রসতলে পৌঁছায়।তারপর পোলবা থানার পুলিশ সেখানে যায়।

যার জমির সামনে ইটের পাঁজা ছিলো তিনি বলেন, প্রচন্ড গতিতে গাড়িটি এসে ধাক্কা মারে।গাড়িতে মদের বোতল পাওয়া গেছে। সম্ভবত তারা মদ্যপান করেছিল। মৃতদেহ ময়না তদন্ত হবে আজ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।ঘটনায় শোকের ছায়া শঙ্কর বাটি গ্রামে।

ভদ্রেশ্বর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়ের হত্যা মামলায় গ্রেফতার এক অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ভদ্রেশ্বর শহরের সেই কালো রাত, যা আজও মানুষ ভুলতে পারেনি সেদিনই দুষ্কৃতকারীরা প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়কে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে মহিলারা অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়েছিলেন।‌ 

জনরোষের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল, যার মধ্যে একজন অভিযুক্তের জেলবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১১ জনের মধ্যে একজনকে আজ জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মনোজ উপাধ্যায়ের শত শত সমর্থক ভদ্রেশ্বর থানার সামনে জড়ো হয়ে ঘেরাও করে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। 

এই সময় বর্তমান ভদ্রেশ্বর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী, সিআইসি প্রকাশ গোস্বামী, তৃণমূল কাউন্সিলর মঞ্জু রায় ও এসডি রায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

তিনি জানান, স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি জানানো হয়েছে যে, একজনও অপরাধী যেন রেহাই না পায়। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সিআইসি প্রকাশ গোস্বামী বলেন, আমরা প্রশাসন ও আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রাখি। মনোজ উপাধ্যায়ের হত্যায় যারা জড়িত, আদালত নিশ্চয়ই তাদের দ্রুত শাস্তি ঘোষণা করবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে