সংক্ষিপ্ত

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই সময়ই তিনি বলেন, 'সব জগন্নাথের ভরসা। তবে নেতিবাচক কোনও কথা আমি শুনতে চাই না।

 

পয়লা জুন ভোট গ্রহণ হয়েছে বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে। কিন্তু তারপরেও নিজের বাড়িতে ফিরে যাননি অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর নাম ঘোষণার পরই বাড়ি ছাড়া সায়ন্তিকা। তারপর থেকে টানা দুই মাসের মত বরানগরের একটি বাড়ি ভাড়া করে রেখেছেন। জয় তাঁর কাছে অত্যন্ত জরুরি। কারণ এর আগে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে জিততে পারেননি। এবার সেই অতীতের স্মৃতি ভুলিয়ে জয় পেতে মরিয়া সায়ন্তিকা। শুধু তাই নয় সায়ন্তিকা জয়ের ব্যাপারে তিনি রীতিমত আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন তিনি জিতেই বাড়ি ফিরবেন।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই সময়ই তিনি বলেন, 'সব জগন্নাথের ভরসা। তবে নেতিবাচক কোনও কথা আমি শুনতে চাই না। শুনবই না। আমি মনে করি রাজনীতিতে আমি শিক্ষানবিশ। তবে কাজটা মনপ্রাণ দিয়ে করতে চাই। আর এটাই করতে করতে তাই। তাই কোনও ক্লান্তি বিশেষ অনুভব করছি না। তবে এতটুকু জানি কাল ফল ঘোষণার পর ঘুমাবো।'

এতদিন ধরে জয়ের জন্য রীতিমত কসরত করেছেন সায়ন্তিকা। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রচারে চালিয়েছেন। কখনও মিছিলে পথ হেঁটেছেন। কখনও জিপে চড়ে প্রচার করেছেন। প্রবল গরমে পুড়েছেন। সেই নিয়ে প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, তাতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তিনি আগামী দিনেই রাজনীতিতেই থাকতে চান। তাই ডিটক্স করার কোনও প্রয়োজন নেই তাঁর।

বরানগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন তাপস রায়। দল বদল করেন তিনি। বর্তমানে তিনি কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের সায়ন্তিকার প্রতিপক্ষ সজল ঘোষ। রবানগরে তাপস রায়ের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তাঁর দলবদলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অনুগামীরাও ঘাসফুল ছেড়ে চলে গিয়েছেন জোড়া ফুলে। তাতে এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে। প্রচারে নেমে সায়ন্তিকা কতটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারেন সেটাই এখন দেখার।