হুমায়ুন কবীর একহাত নিলেন আইপ্যাক সংস্থাকে। তিনি বলেন, '২০২৩ -এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসন, জেলা পরিষদ আসন টাকার বিনিময় বিক্রি হয়েছে।'
আই প্যাক (I-PAC) ইস্যুতে মদন মিত্রর (Madan Mitra) সুরেই সুর মেলাল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) আরও এক নেতা হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনিও আর্থিক দুর্নীতি ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুললে প্রশান্ত কিশোরের তৈরি করা আইপ্যাক সংস্থাকে। যদিও বর্তমানে এই সংস্থার সঙ্গে যোগ নেই প্রশান্ত কিশোরের। কিন্তু এই সংস্থার হাতেই রাজ্যের শাসকদলের নির্বাচনী দায়িত্ব রয়েছে। তাও আবার সেই ২০২১ সাল থেকেই।
সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আইপ্যাকের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছেন মদন মিত্র। সেই সূত্র ধরেই হুমায়ুন কবীর একহাত নিলেন আইপ্যাক সংস্থাকে। তিনি বলেন, '২০২৩ -এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসন, জেলা পরিষদ আসন টাকার বিনিময় বিক্রি হয়েছে।' হুমায়ুন কবীর মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি আরও বলেন, 'দলের মধ্যে ১০ শতাংশ ব্যক্তি তৃণমূলের পদ ও বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি হয়। তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ দলকে ও তার পদকে ব্যবহার করেছে। আর সেটাও আইপ্যাকের ১০ শতাংশের মধ্যেই পড়ে।' তিনি আরও বলেন গোটা রাজ্যের কথা তিনি বলতে পারবেন না। গোটা জোলায় কোথায় কী হয়েছে সেটাও তিনি বলতে পারবেন না। কিন্তু ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসন জেলা পরিষদের আসন টাকার বিনিময় বিক্রি হয়েছে তার তথ্য তাঁর হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
সোমবার একটি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, 'সবথেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কোনও দুর্নাম ছিল না। যেটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গায়ে কালি লেগেছে তা প্যাকওয়ালাদের জন্য।' মদন আরও বলেন, 'প্যাকওয়ালাদের জন্যই বাংলার বাইরে থেকে সুযোগসন্ধানী একদল এল, মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলত আমি ওমুক প্যাক থেকে এসেছি এই কাজটা কালকের মধ্যে ছাড়তে হবে।' মদন রীতিমত দাবির সুরেই বলেন, কোনও প্যাক ছাড়াই তাঁরা উপনির্বাচনগুলো জিতেছে। মিটিং মিছিল করেছে।
মদন মিত্র টাকার বিনিময় ভোটের টিকিট বিক্রি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন। তবে এখন তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন আইপ্যাককে। মদনের কথায় 'এসব কথা শুনেছি। এসব আমাদের দলে আইপ্যাক শুরু করেছিল। ২০২১ সালের আগে এসব শুরু হয়েছিল। টাকা নিয়েও নমিনেশন দেওযা হয়নি। লোককে কাঁদতে দেখেছি।' মদন আরও বলেন সেই সময় কিছু করা যায়নি কারণ ক্যাস লেনদেন হয়েছে। নির্বাচনী সমীক্ষা সংস্থা আইপ্যাককে কাঠগড়ায় তুলে মদনের দাবি, ' ওরা কিছু লোকের নাম রেকমেন্ডশন করে চলে গিয়েছে। ভোটে লড়াই করেছে আমাদের ছেলেরা। আইপ্যাকের ছেলে কোথায়? আইপ্যাক মানে প্যাকআপ!' মদন আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বচ্ছতা একই জিনিস। হংসের পাখায় কখনও দাগ লাগে না।
