সংক্ষিপ্ত
ডিএ প্রতিবাদীদের বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অফিস করবে না, দিনের পর দিন কামাই করবে। দিয়ে বেতন নিয়ে নেবে?” কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ডিএ দাবিদাররা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন, “চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি পারলে বেতন কেটে দেখান।”
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্য ডিএ (ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স)-এর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি কর্মচারীরা। ন্যায্য অঙ্কে ডিএ না পাওয়ায় জেলায় জেলায় ক্ষোভ পৌঁছেছে চরমে। কলকাতার ধর্মতলায় তাঁবু খাটিয়ে ক্রমাগত চলছে ধর্না এবং দাবির জন্য আন্দোলন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ভাবে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রতিবাদীরা। কিন্তু, এই আন্দোলনকারীরা রাজ্য সরকারের যে পদে চাকরিতে রয়েছেন, সেই পদগুলির কাজের হাল কী হচ্ছে? এই বিষয়েই এবার জোরালো সওয়াল তুললেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।
১৪ মে, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক অফিসের সভাঘরে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে একটি সভা আয়োজিত হয়েছিল। এই সভা থেকেই ডিএ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন অখিল গিরি, যে মন্তব্য নিয়ে রাজনীতিতে এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ডিএ প্রতিবাদীদের বিষয়ে তাঁর প্রশ্ন, “অফিস করবে না, দিনের পর দিন কামাই করবে। দিয়ে বেতন নিয়ে নেবে?”
তিনি বলেন, “যাঁরা ধর্নায় বসেছেন, তাঁরা তো নিজেদের ডিউটি করছেন না। আমি বলব, তাঁরা যেন বেতন না পান। মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, ভূমি দফতর এবং ফার্মেসির দফতরের কর্মচারীদের কাজে তিনি অখুশি। আমি নিজেই তিন-চারটি বিএলআরও-র নাম দিয়ে এসেছি সরানো জন্য। স্বর্গে গেলেও তো ঢেঁকি ধান ভাঙে। পুলিশের এক আধিকারিক গিয়েছিল। সেখানেও কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে। টাকা না দিলে কেউ কাজ করছে না। সরকারি হাসপাতালে আমি রাতে দেখলাম একটা ওষুধ লাগবে। সেই ওষুধ হাসপাতালে রয়েছে, তবু দিল না। বাইরে থেকে কিনে আনতে বলছে। সরকার যে ওষুধটা দিল, তাহলে সেটার কী হল? এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।” এরপরেই তিনি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি তোলেন, যাঁরা দিনের পর দিন অফিস কামাই করে ধর্নায় বসছেন এবং দায়িত্ব পালন না করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বেতন কেটে নেওয়া হোক।
অখিল গিরির মন্তব্যের পালটা তোপ দেগেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরাও। তাঁদের বক্তব্য, আন্দোলনকারী কর্মীরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ছুটি নিয়েই আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। সঞ্চিত ছুটি নিলে বেতন কাটার অধিকার থাকে না। অখিল গিরি যদি রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য, তাহলে আন্দোলন তুলে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বেতন কাটার কোনও দরকারই পড়বে না। কারামন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ডিএ দাবিদাররা প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন, “চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি পারলে বেতন কেটে দেখান।”
আরও পড়ুন-
‘তোমার সাফল্যে আমরা গর্বিত’, ICSE-তে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম হওয়া সম্বিত মুখোপাধ্যায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর এ কি রূপ! এস জয়শঙ্করের ছবি দেখে ‘মোদী এফেক্ট’ বলে দ্বিধাবিভক্ত নেটদুনিয়া
মানুষের জন্ম-মৃত্যুর রিপোর্ট রাখতে হবে কেন্দ্রের নিয়মে, রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক