TMC Leader Death News: কোচবিহারে খুন তৃণমূল নেতা। খুনের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ!  কী বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? বিস্তারিত জানতে পডুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Cooch Behar Tmc News: গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূল কর্মীকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল কোচবিহারে। জানা গিয়েছে, বচসা থামাতে গিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সঞ্জয় বর্মণ (৩৭)। তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। ধৃতদের নাম অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণ। ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে অজয় বর্মণ ও মান্টু বর্মণের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। সেই সময় বচসা থামাতে যান সঞ্জয়। অভিযোগ, তাঁকেই অভিযুক্তরা আক্রমণ করেন। লোহার রড দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের আঘাত করা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। তারপরও তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তরা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জোরপাটকি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পরেশচন্দ্র বর্মণ বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বচসা থামাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা কোনও পার্টির সঙ্গে যুক্ত বলে আমার মনে হয় না। তারা দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।” অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবারও। শুধুমাত্র বচসা থামাতে যাওয়ায় খুনের ঘটনা বলে মানতে পারছে না তারা। মৃত তৃণমূল কর্মীর কাকা ক্ষিতীন্দ্রনাথ বর্মণ অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইপোকে পরিকল্পনা করেই এমন নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হবে। এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে প্রস্তাবিত এসআইআর-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে যতদিন তিনি বেঁচে আছেন, তিনি কাউকে রাজ্যের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে দেবেন না।

 তিনি রাজ্যে ভাষাগত সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে এসআইআর জনগণকে সরকার নির্বাচন করতে দেওয়ার পরিবর্তে "ভোটারদের বেছে নেওয়ার উপায়" হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে বৈধ ভোটারদের অপসারণের যে কোনও প্রচেষ্টার প্রতিবাদ করা হবে নয়াদিল্লিতে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।