আজ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ক রুমে এসআইআর সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন হুগলির অবজারভার তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ১০০% এনুমারেশন ফর্ম যাতে জমা পড়ে তার দায়িত্ব নিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের। অভিষের নির্দেশ মতই কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা। এদিন এসআইআর নিয়ে জোরদার নজরদারি চালাতে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক ওয়ার্ক রুম পরিদর্শনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

ওয়ার্ক রুমে অরূপ বিশ্বাস

আজ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ক রুমে এসআইআর সংক্রান্ত প্রস্তুতি ও কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন হুগলির অবজারভার তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সকালেই তিনি সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিভিন্ন ওয়ার্ক রুম পরিদর্শন করেন, পরে উপস্থিত হন পান্ডুয়া বিধানসভাতেও। প্রতিটি কেন্দ্রেই কত শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান নেন তিনি।

সপ্তগ্রাম ও পান্ডুয়ার পাশাপাশি চুঁচুড়া বিধানসভার ওয়ার্ক রুমেও পৌঁছান মন্ত্রী। চুঁচুড়ার পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন হুগলীর সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, ধনিয়াখালি বিধায়ক অসীমা পাত্র, চাঁপদানি বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনসহ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ও শীর্ষ নেতৃত্বরা।

চুঁচুড়া ওয়ার্ক রুম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন,“ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাস্তায় নেমেছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য—একজন বৈধ ভোটারও যাতে বাদ না যায়।” তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি এসআইআর নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। মন্ত্রী বলেন, “যদি একটিও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, আমরা জীবন দিয়ে লড়াই করব। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন—বৈধ ভোটার বঞ্চিত হলে আগামী দিনে দিল্লিতে বড় আন্দোলন হবে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি, আর নির্বাচন কমিশন বিজেপির কথায় মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।”

বলাগড় ও উত্তরপাড়ার বিধায়কদের ওয়ার্ক রুমে অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এসব বাজে কথা। আপনারাই গল্প বানান। তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আগামী দিনে আমরা ২৫০ আসন নিয়ে ফের সরকারে আসব।” সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এমন কোনও দ্বন্দ্ব নেই। আপনারা গল্প করেন, আমরা কাজ করি।”

SIR অ্যাপে সমস্যা

এসআইআর অ্যাপের গোলযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর অভিযোগ, “গতকাল বিকেল থেকে আজ পর্যন্ত অ্যাপটি ঠিকভাবে কাজ করছে না। এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে, যাতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যায়। ওরা ভাবছে এটা হরিয়ানা বা উত্তরপ্রদেশ—কিন্তু এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। এক মিলিমিটার জমি জমিয়ে আমরা ছাড়ব না।”