নিজের দলের বিধায়কের বিধানসভা এলাকাতে গিয়েই তাঁর নাম না করে ‘চোর’ এবং ‘ডাকাত’বলে আক্রমণ করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা নদিয়া জেলার তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র।

আর যার নাম না করে মহুয়ার এই বিস্ফোরক মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে, সেই মানিক ভট্টাচার্য উল্টো সুরে বলেন, “এত দিন বিজেপি এবং সিপিএম ওই কথা বলছিল। আজ আরও একজন যোগ হল!”

তবে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান এই বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম কথা বলেননি। বুধবার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিকের বিধানসভা এলাকা বার্নিয়া অঞ্চলে একটি কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন মহুয়া। সেখান থেকেী নাম না করে পলাশিপাড়ার বিধায়ককে বেনজির আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ নিজেই জানান যে, এর আগে কাউকে এমন কথা বলেননি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছেন।

তাঁর মতে, “যার জন্য দল কালিমালিপ্ত হয়েছে, যার জন্য সরকার প্রায় পড়ে গেছে, আজ অবধি কেস চলছে, এফআইআর হয়েছে, চার্জশিট হয়েছে, তারা ভোটের আগে এলাকায় ঢুকবে এবং মিটিং করবে! আমাদের তাই মেনে নিতে হবে? আমরা কি মরে গেছি?”

সেই সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের দিকে প্রশ্ন করেন মহুয়া। তিনি বলেন, “কী মনে হয় আপনাদের? আমি এগুলো বলি না, কোনওদিন বলি না। আজ বাধ্য হয়ে বলছি। যারা দলকে কালিমালিপ্ত করেছে, এরা ডাকাত, রঘু ডাকাত।”

আরও সুর চড়িয়ে চলেন, “এরা ছিঁচকে চোর নয়, পকেটমার নয়, ওর বৌ চোর, ছেলে চোর, চোদ্দোগুষ্টি চোর।”

কর্মীদের উদ্দেশ্যে মহুয়া বলেন, “আমি কি বার্নিয়ার বুকে স্টেজে দাঁড়িয়ে মিটিং করে মিথ্যা কথা বলতে এসেছি? আসলে বাস্তব কথাই বলছি। এই দলের আমিো একজন সৈনিক। আমরা মমতা ব্যানার্জির সৈনিক। এই ২-৩টে চোর-ডাকাতের জন্য আমাদের সকলকে কালিমালিপ্ত করছে মানুষ।” ’

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।