সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের দুই পুরনো নেতাকে সাসপেন্ড করার কথা জানান হয়েছে। জানা গেছে দলবিরোধী কাজের জন্যই ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম ও চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এবার তৃণমূল কংগ্রেস সাসপেন্ড করল শান্তনু সেন আর আরাবুল ইসলামকে। শান্তনু সেনকে এই প্রথম সাসপেন্ড করা হলেও এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সাসপেন্ড করা হল আরাবুল ইসলামকে। শুক্রবার দলের পক্ষ থেকে দুই নেতাকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে আচকমাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলের দুই পুরনো নেতাকে সাসপেন্ড করার কথা জানান হয়েছে। জানা গেছে দলবিরোধী কাজের জন্যই ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম ও চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে। আরজি কর আন্দোলনের সময় থেকেই শান্তনু সেনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল দলের। আরজি কর ইস্যুতে শান্তনু সেনের মন্তব্য ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কেও সরব হয়েছিলেন শান্তনু সেন। আরজি হাসপাতালে তাঁর মেয়ের সঙ্গেও খরাপ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে ছিলেনেন। সেই দূরত্ব পরবর্তীকালে আরও প্রকট হয়। অন্যদিকে এর আগেও আরাবুলকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই সময় টানা ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে তাঁকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়। দলে ফিরেই পঞ্চায়েত ভোটো জয়ী হয়ে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন। কিন্তু তারপরেও তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল। তাঁকে সম্প্রতি গ্রেফতারও করেছিল কলকাতা পুলিশ।
তৃণমূল সূত্রের খবর ২০২৬ সালের নির্বাচনই বর্তমানে পাখির চোখ। তার আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই একাধিক পদক্ষেপ করছে দলের শীর্ষনেতৃত্ব। সেই কারণেই এই সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পরে বলেও অনেকে মনে করছেন। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরে শোনা যাচ্ছে ভোটের আগে দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার কাজও শুরু হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।