সংক্ষিপ্ত
বিধানসভা উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে সবুজ ঝড়। চার কেন্দ্রেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। চার কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীদের পরাজিত করছেন।
রানাঘাট দক্ষিণে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী প্রায় ৩৯ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাসকে। এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক ছিলেন মুকুটমণি। তবে বিজেপির প্রতীকে জিতেছিলেন। কিন্তু জয়ের পরই দল বদল করে চলে আসেন তৃণমূলে। লোকসভায় প্রার্থী হলেও হেরে যান। এবার আবার বিধানসভায় যাবেন মুকুটমণি। জয়ের পরে মুকুটমণি জানিয়েছেন বিজেপি মানুষের কথা ভাবে না। তাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
বাগদা থেকে এবার বিধায়ক হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মধুপর্ণা ঠাকুর। প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে। ২৫ বছরেই বাজিমাত করলেন মধুপর্ণা। ১৩ বছর পরে এই কেন্দ্র বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। মধুপর্ণা প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।
রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীয় প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তিনিও হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীকে। তিনি জানিয়েছেন, মানুষের উন্নয়নের জন্যই তিনি কাজ করবেন।
মানিকতলা কেন্দ্রেও নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। মানিকতলার ফল নিয়ে কুণাল বলেন, ‘কল্যাণ চৌবে যত ভোটে হারবেন, ততগুলি রসগোল্লা ওঁর বাড়িতে পাঠাব। বাম জমানার থেকে ভাল আছেন বাংলার মানুষ। বিজেপির প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করছে। তাই মানুষের আস্থা রয়েছে।