স্কুল ছুটির পর টিচার্স রুমে দুজনকে এসে ফোন নম্বর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে স্কুলের বাথরুমে ঢুকে এক কাণ্ড বাঁধিয়ে বসে তারা। বাথরুমের মধ্যে থাকা ফিনাইল খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই দুই ছাত্রী।
শিক্ষকের কাছ বকা খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করল ক্লাস সেভেনের ২ ছাত্রী। দুজনকেই উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আপাতত সুস্থ রয়েছে দুজনেই। দুর্গাপুরের এই ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্কুলে গিয়ে দুষ্টুমি বা পড়া না করায় কমবেশি সকলেই শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে বকা খায়। আবার ভালো কাজ করলেও প্রশংসাও জোটে। এভাবেই তো স্কুল জীবন পার করেন পড়ুয়ারা। তবে দুর্গাপুরের একটি ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শিক্ষকের কাছে বকা খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল সপ্তম স্রেণীর দুই ছাত্রী। দুজনেই এখন ভর্তি হাসপাতালে । পড়ুয়াদের মধ্যে এমন প্রবণতা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন মনোবিদরাও।
দুর্গাপুর এমএএমসি টাউনশিপের একটি বেসরকারি স্কুলে এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । স্কুল সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই ক্লাসে দুষ্টুমিতে ব্যস্ত থাকত ওই দুই ছাত্রী। বিষয়টি নিয়ে তাদের অভিভাবকদের জানানোর কথা ভাবা হয়েছিল স্কুলের তরফ থেকে। সেই কারণে ছাত্রীদের থেকেই চাওয়া হয়েছিল বাড়ির ফোন নম্বর ।
শিক্ষক জানান, স্কুল ছুটির পর টিচার্স রুমে দুজনকে এসে ফোন নম্বর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে স্কুলের বাথরুমে ঢুকে এক কাণ্ড বাঁধিয়ে বসে তারা। বাথরুমের মধ্যে থাকা ফিনাইল খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই দুই ছাত্রী। তবে পরে জানা যায়, বোতলে শুধু ফিনাইল ছিল না,তাতে মেশানো ছিল জল। তবুও কোন দিক না তাকিয়ে দুই ছাত্রীকেই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জানা যায়, তারা আপাতত সুস্থ আছে। এক ছাত্রীর পরিবারের সদস্য জানালেন, তিনি খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসেন । জানতে পারেন তার ভাইঝি ফিনাইল খেয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাথরুমে ফিনাইল না থাকলেই ভালো হতো । গোটা ঘটনা নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
