সংক্ষিপ্ত
একটি ফেসবুক পেজে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন এক পড়ুয়া। ফেসবুকে ভি বি কনফেশন্স নামে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি একটি পেজে পরিচয় গোপন রেখেই নিজের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে শোরগোলের মাঝেই বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়ার পোস্ট ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। র্যাগিং নিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের ঘটনার এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কতৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। একটি ফেসবুক পেজে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন এক পড়ুয়া। ফেসবুকে ভি বি কনফেশন্স নামে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি একটি পেজে পরিচয় গোপন রেখেই নিজের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি (এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং তত্ত্ব ঘিরে বিতর্কের মাঝেই বিশ্বভারতীর পড়ুয়ার অভিযোগ ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
গত ১১ অগাস্ট ফেসবুকের ভি বি কনফেশন্স নামের একটি গ্রুপে পোস্টি করেন বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। পরিচয় গোপন রেখেই এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু শিক্ষকের দিকে। ভয় মুখ খুলতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে ওই পড়ুয়া লিখেছেন,'প্রিয়, শান্তিনিকেতন, এখানে পড়তে এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে কিন্তু আর টিকতে পারছি না। শারীরিক আর মানসিক দু'দিক দিয়েই শিকার হয়ে যাচ্ছি। ভয়ে মুখ খুলতে পারি না, আজকে বাধ্য হয়ে এখানেই লিখলাম। গ্র্যাজুয়েশনের সেকেন্ড ইয়ার থেকে শারীরিক ভাবে কয়েকজন পশুর ন্যায় শিক্ষকের শিকার আমি। কোনওদিন বলতে পারিনি আজকে বলতে বাধ্য হলাম কারণ আর পারছি না। শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা আর বিশ্বভারতীতে পড়া আমার জীবনে যেন এক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশি দিন হয়তো টিকতে পারব না, মা বাবা আর আমার এক ভাই আছে। এখনও যে বেঁচে আছি, শুধু তাঁদের জন্যই কিন্তু এই শারীরিক নির্যাতন আমায় শেষ করে দিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদের মধ্যে একজন ইকোনমিক্স দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত ও সোশিওলজি দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষ। জানা যাচ্ছে শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এই দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এখন পর্যন্ত এই নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। সূত্রের খবর ধৃত দীপশেখর বাঁকুড়ার বাসিন্দা এবং ধৃত মনতোষ হুগলির আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম নিজে থানায় উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৯ বছর এবং আর একজনের বয়স ২০ বছর। জানা যাচ্ছে মেইন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকতেন ধৃত সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মনোতোষ। এই মনোতোষের অতিথি হিসেবেই থাকছিলেন নিহত পড়ুয়া। তাঁর বাবার অভিযোগে মনোতোষের নাম থাকলেও এফআইআর-এ তাঁর নাম নেই। তবে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন -
মনোতোষ সৌরভ দীপশেখরের বিরুদ্ধে হতে পারে পকসো মামলা, শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগ
'খুব শীঘ্রই নিষ্পত্তি করতে পারব', যাদবপুরকাণ্ডে মন্তব্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের
মনোতোষ সৌরভ দীপশেখরের বিরুদ্ধে হতে পারে পকসো মামলা, শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগ