সংক্ষিপ্ত

তাপমাত্রার রেকর্ড পতন কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গেই নামছে তাপমাত্রা। গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিল এদিনের তাপমাত্রা।

রেকর্ড তাপমাত্রার পতন কলকাতায়। চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত এটাই শীতলতম দিন। আলিপুর হাওয়া অফিসের দেওয়া পূর্বভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিসের মত গত পাঁচ বছরে নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা একটা কমেনি। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ আরও কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস হাওয়া আফিসের।

হাওয়া অফিসের মতে বর্তমানে রাজ্যে আবাধে প্রবেশ করছে উত্তুরে হাওয়া। কোনও বাধা আপাতত নেই। তাই চলতি সপ্তাহের শেষে আরও শীত পড়তে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে। এমনিতেই উত্তরবঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় বেশি ঠান্ডা পড়ে। সেই অনুযায়ী দুই বঙ্গেই আপাতত শীতের আমেজ থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সপ্তাহের শেষের দিকে দুই বঙ্গের তাপমাত্রাই দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। ঝাড়খণ্ড ও বিহার লাগোয়া জেলাগুলিতে বেশি শীত অনুভূত হবে। আপাতত এই রাজ্যের ওপর কোনও ঘূর্নাবর্তের প্রভাব না থাকায় শীতের পথে কোনও কাঁটা নেই।

অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ বর্তমানে অবস্থান করছে অন্ধ্র ও তালিমনাড়ু উপকূলে। ধীরে ধীরে সেটি শক্তি হারাচ্ছে। অন্যদিকে আন্দামান সাগরে একটি নতুন নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেটি থেকে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তা পরবর্তীকালে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেটির গতিবেগ আর অবস্থানের দিকে নজর রয়েছে হাওয়া অফিসের। তবে তেমন কিছু না হলে চলতি সপ্তাহের শেষ থেকে তাপমাত্রার পারদ আরও কমবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

চলতি বছর শীত বেশি পড়বে বলেও মন করছে আবহাওয়াবীদরা। তেমন কেনও বাধা না থাকলে উত্তুরে হাওয়ার পথে কোনও কাঁটা নেই। তাই শীত বিলাসি বাংলা এবার চুটিয়া শীতের দুই মাস উবভোগ করতেই পারেন। তবে পারদের যা গতি তাতে ইতিমধ্যেই বালাপোষ বা কম্বল বার করে ফেলতে পারেন। কিন্তু এখনও দিনের বেলা বা রোদ উঠলে কিন্তু একেক দিন উত্তুরে হাওয়ার যা দাপট থাকে তাতে শীত অনুভূত হয়।

আরও পড়ুনঃ

আবারও হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প, আজ ভোরবেলা কাঁপল মেঘালয়ার তুরা

জঙ্গলে সঙ্গমরত অবস্থায় প্রেমিক-প্রেমিকার গায়ে আঠা ঢেকে হত্যা, পুলিশের জালে মন্দিরের তান্ত্রিক

পাকিস্তানের ড্রোনের প্রভাব কমলেও সতর্ক রয়েছে বিএসএফ, শীতকালে তুরাষপাতের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত সীমান্তে