West Bengal News: কলেজের মধ্যেই বসল বিয়ের আসর। বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে ছড়িয়েছে তরজা। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Kakdwip: কসবা কাণ্ডের পর থেকেই খবরে শিরোনামে বাংলার একের পর এক কলেজের ইউনিয়ন রুমের কুকীর্তি। কোথায় দল বেঁধে জুনিয়র ছাত্রীর উপর লাগাতার নির্যাতন। আবার কোথাও ইউনিয়ন রুমের ভিতরেই গণধর্ষনের শিকার কলেজ পড়ুয়া। এবার প্রকাশ্যে এলো আরও এক গুরুতর অভিযোগ। কলেজের ছাত্র সংসদের ভিতরেই বসল বিয়ের আসর। সেই বিয়ের ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জোর তরজা (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি Asianet News Bangla)।
ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, কলেজের ছাত্র সংসদের মধ্যে বসল বিয়ের আসর। হল মালাবদল। সামাজিক মাধ্যমে এমন ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। জানা গিয়েছে, এখানে যে ছাত্র সংসদ আছে সেই ছাত্র সংসদের মধ্যে নাকি মাঝের মধ্যে বসে বিয়ের আসর। বেশ কিছুদিন আগে এই ছাত্র সংসদের মধ্যে এই কলেজেরি অস্থায়ী কর্মী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এমনি মারাত্মক অভিযোগ করেছেন ওই কলেজেরই এবিভিপি ছাত্রনেতা। একই অভিযোগ এসি এর তরফ থেকেও। বেশ কয়েকটি স্টিল ছবি পাওয়া গেছে ওই ছাত্র সংসদের মধ্যে বিয়ের। এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন দক্ষিণ দিকের পাঁচিল নিছু সেই পাঁচিল থেকে টপকে আসে বিভিন্ন ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন সময়।তার মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা দেখতে হবে। প্রিন্সিপাল আরো বলেন বিয়ে বাইরে হয়ে তারা বর বউ এখানে এসে একটু দেখা করতে এসেছিল শুনেছিলেন। শোনার পর স্থানীয় প্রশাসনকে তিনি জানান।
অন্যদিকে, একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। কসবা কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্যাতিতা জানান, ‘মিটিয়ে নাও’ এই বার্তা এসেছিল ফোনে। জানায়, এরপর ফোন করেন কলেজেরই এক প্রভাবশালী। তিনি প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, ঘটনাটা ঠিক কী? তারপর বলেন, ইনস্টিটিউশনের না জড়িয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা একটু হাল্কা করা যান কি না দেখো। যদি একটা মধ্যস্থতায় আসা যায়। ওই দিন তরুণীর কাছে আরও বেশ কিছু ফোন এসেছে। প্রত্যেকেই অভিযোগ না করার পরামর্শ দিনেছেন এবং বলেছেন কলেজের নাম উঠে আসছে। অন্য কিছু ভাবা যায় কি না দেখো।
নির্যাতিতা তরুণী কিন্তু অনড়ই ছিলেন। প্রত্যেককেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনওরকম আপসে তিনি যাবেন না। কারণে তাঁর সঙ্গে ২৫ জুন সন্ধ্যার পর যা হয়েছে তার একটা হেস্তনেস্ত করতে হবে। ইউনিযন রুমে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মনোজিৎ সরাসরি কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। অস্বীকার করায় চুলে মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে মাছা ঠুকে দেয়।
অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।
এদিকে আবার কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন জনকে বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে। মনোজ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী। সেই পদে থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ এই কলেজের পড়ুয়া। তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


