Nadia Durga Puja News: দেখতে দেখতে চারটে দিন পার। উৎসবের আজ শেষদিন। বিজয়া দশমী। বাপের বাড়ি ছেড়ে ফের কৈলাসে ফিরে যাবেন উমা। দেবী দুর্গার বিদায়বেলায় সিঁদুর খেলায় মত্ত নারীরা। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Nadia Durga Puja News: রাজবাড়ির দশমী — ঐতিহ্যের আবেগে ভাসে কৃষ্ণনগর। শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই আজও মহিমা ধরে রেখেছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। এখানে দেবী পূজিত হন “রাজরাজেশ্বরী” রূপে। দশমীর দিন এই বনেদি পুজোয় দেখা যায় এক অন্য আবহ, যেখানে রাজপরিবারের আচার-অনুষ্ঠান আর জনসাধারণের ভক্তি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

বিজয়া দশমী ঘিরে উৎসবের আমেজ:-

দশমীর সকালে রাজবাড়িতে শুরু হয় যাত্রামঙ্গল। এর পর রাজপরিবারের সদস্যরা দেবীর দর্শন করেন এবং প্রাচীন রীতিমতো কলাপাতার ওপর সাজানো প্রতীকী সামগ্রী— ধেনু, বৃষ, গজ, ঘোড়া, পতাকা ও জ্বলন্ত অগ্নি— দর্শন করেন। একসময় নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে দেবীর নিরঞ্জনের রীতি ছিল, তবে এখন তা বন্ধ হয়েছে।

দশমীর বড় আকর্ষণ নিরঞ্জন ও বিসর্জন। নিয়ম মেনে নিরঞ্জনের পর প্রতিমাকে রাজবাড়ির পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের আগে আয়োজিত হয় সিঁদুর খেলা। দেবীকে বিদায় জানানোর সেই আবেগঘন মুহূর্তে রাজপরিবারের মহিলাদের সঙ্গে অংশ নেন উপস্থিত ভক্তরাও।

প্রতি বছরই বিজয়ার এই দিনে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি ভরে ওঠে দর্শনার্থীর ভিড়ে। ঐতিহ্য, আবেগ আর ভক্তির মিলনমঞ্চে রাজবাড়ির দশমী যেন আলাদা রঙে রাঙিয়ে দেয় সমগ্র নদীয়া জেলা। শুধু নদীয়া জেলায় নয়। বৃহস্পতিবার মহা দশমীর পুণ্যতিথি। দেবী বিদায়ের পালা। তাই বিদায় বেলায় মন্ডপে মন্ডপে চলল দশমীর পুজোপাঠ ও সিঁদুর খেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও দশমীর সকালে সিঁদুর খেলায় মাতলেন মালদহ শহরের শরৎপল্লী সার্বজনীন মহিলা পরিচালিত দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা। পুজো কমিটির মহিলারা দশমীর বিষাদঘন আবহের মধ্যেই মায়ের চরণে সিঁদুর ছোঁয়ান। আর সিদুঁর ছোঁয়ানোর পরেই বিভিন্ন বয়সী মহিলারা একে অপরের সিঁথিতে, কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলার আনন্দে।

মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদ থেকে পুজোর সূচনা, থেকে টানা কয়েকদিনের আনন্দ উৎসবের পর বিদায়ের সুর বাজল দশমীর দিনে। মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে রায়চৌধুরী পরিবারের বাড়িতে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মায়ের প্রতিমার আরাধনা ও দশমীর বিশেষ পূজা।

প্রথা মেনে পুজো শেষ হতেই শুরু হয় সিঁদুর খেলা। লাল সিঁদুরে মেতে উঠেন পরিবারের সকল বধূরা। বাড়ির মেয়ে থেকে বাড়ির বউ, একে অন্যকে সিঁদুরের রঙে রাঙিয়ে দিলেন। হাসি-আনন্দের মাঝেই মায়ের যাওয়ার কথা মনে পড়লে ভারাক্রান্ত হৃদয় কেঁদে উঠলেন বাড়ির সদস্যরা।

অনেকের চোখেই জল। বছরের এই বিশেষ দিনগুলিতে যেমন আনন্দ, তেমনই বেদনার ছোঁয়া স্পষ্ট বাড়ির আঙিনায়। মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় চাঁচলের কলিগ্রামের রায় চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোয় জড়িয়ে নবাব আলিবর্দি খাঁ-র নাম। রায়চৌধুরীদের দুর্গা প্রতিমায় সিংহ সাদা ৷ কার্তিকের পাশে স্থান পান কলাবউ ! তিনশো বছরের প্রাচীন পুজো আজও অটুট। দশমীতে এই বছরের মতো সমাপ্ত হল শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোর। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।