Anubrata mandal News -

মঙ্গলবার সকালে বোলপুরের নেতাকি মার্কেটে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকরা। নামে বেনামে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ঠিক সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত সেই সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয় বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে।

এবার সিবিআই-এর নজরে 'শিবশম্ভু' রাইস মিল। সোমবার সকালে এই চালকলে হানা দেয় সিবিআই। বোলপুরের বাঁধগড়া এলাকায় অবস্থিত এই চালকল। এই চালকলের মালিকানা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষে নামে কি না সেই নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন কেঁচো খুড়তে কেউটে বের হওয়ার জোগাড়। একের পর এক সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছে সিবিআই। আর সেই সঙ্গে একের পর এক কুশীলবের নাম জড়াচ্ছে গরু পাচারকাণ্ডে। রবিবার বোলপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

রাজ্যে কালো টাকা টাকা নয়ছয় করতে ব্যবহৃত হচ্ছে সিএসআর প্রকল্প? এমন এক আশঙ্কাকে উসকে দিয়েছেন সমাজ ও আইন গবেষক এবং আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী। চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন এক দাবি করেছেন যা হইচই ফেলে দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি অপেক্ষা করার পর অবশেষে ভোলে বোম রাইস মিলে প্রবেশ করে সিবিআই-এর গাড়ি। গোরু পাচার মামলার টাকা হাত বদল হয়ে এই মিলে আসত কি না সেই বিষয় তদন্ত চালাতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের নজরে পরে মিলের পেছন দিকের একটি গ্যারাজ। সেই গ্যারাজে তল্লাশি চালিয়ে রীতিমত হতবাক তদন্তকারীরা। গ্যারাজের মধ্যে রয়েছে সারি সারি বিলাশবহুল গাড়ি।

গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয় তৃণমূলের দুঁদে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পর থেকেই নানা ঘটনাক্রমের মাধ্যমে বারবার শিরোনামে উঠে আসে ভোলে বোম রাইস মিলের নাম। এবার বোলপুরের সেই ভোলে বোম রাইস মিলে পৌঁছল সিবিআই-এর ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বুধবার অনুব্রত-কন্যার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে টেট সংক্রান্ত একটি অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাঁর ভিত্তিতেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাকরির সমস্ত নথি সমেত সুকন্যা মণ্ডল ও অভিযুক্ত বাকি ছ'জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতির নির্দেশে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেবেন কেষ্ট কন্যা। বৃহস্পতিবার ভোরেই বোলপুর থেকে রওনা দেবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন সুকন্যা তথা অনুব্রতর আইনজীবীর সঞ্জীব দাঁ।

সুকন্যার নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুটি চাকরি করেন তিনি। একটি বীরভূমের ‘ভোলে বাবা রাইস মিল’ নামে এক সংস্থায়। অপরটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে।

সুকন্যার বিরুদ্ধে এবার নতুন অভিযোগ জমা পড়ল কলকাতা হাই কোর্টে। টেট পরীক্ষা ছাড়াই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা, শুধু তাই নয় স্কুলে একদিনও না গিয়েও মিলেছে বেতন। এমনই অভিযোগ উঠল তৃণমূল জেলা সভাপতির মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।