এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে অন্যতম বড় ইস্যু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের আগেই সরকারিভাবে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু হয়ে গেল।
"মুসলিমদের গায়ে হাত দিলে কেটে রেখে দেব" সিএএ প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন এক ব্যক্তি। এই ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যা দেখে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সুপ্রিম কোর্টে সিএএ মামলায় বিরোধীদের হয়ে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিবাল, ইন্দিরা জয়সিং। কেন্দ্রের হয় সওয়াল করেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সিএএ নিয়ে জনগণের একটি অংশের উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের বিরুদ্ধে এটি প্রয়োগ করা হবে বলে যে কথা বলা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
অসমে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সিপিএমও। কামরুপে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখান হয়। সবমিলিয়ে সিএএ নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়েছে অসমে।
মমতা বলেন, আগামী দিনে অশান্তির খেলা খেলতে চাইছে বিজেপি। আমি আপনাকে এটি ব্যাখ্যা করব। এটা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার শিকড়ের ওপর সরাসরি আক্রমণ। CAA-এর নিয়মগুলিও স্পষ্ট নয়।
১১ মার্চ দেশে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করা হয়েছিল। এই আইনের আওতায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'নির্বাচন এলে কিছু একটা খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওরা।'এদিন সিএএ-র বিরুদ্ধ সাংবাদিক সম্মেলনে রীতিমত সরব হন মমতা।
যোগ্যব্যক্তিরা একটি সম্পূর্ণ অনলাইন মোডে নাগরিকত্বের আবেদন জমা দিতে পারেন। এরজন্য একটি ওয়েব পোর্টাল সরবরাহ করা হয়েছে।
আজ রাতেই জারি হতে পারে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র।