সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ত্রিপুরার নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ৪.৩০ মিনিটে প্রচার শেষ হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্টের তৃণমূল শিবির জয়যুক্ত হলে আইনজীবীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক
কলকাতা পুরনিগমের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে সাংসদ অর্জুন সিং, বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতকে। এছাড়া কলকাতাকে ভাগ করা হয়েছে চারটি জোনে। আর সেই চারটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চারজনকে।
চলতি বছরে মেয়াদ শেষ হলেও এখনও অবধি পুরভোট হয়নি রাজ্যে। মহামারীর কারণে নির্বাচন করা যায়নি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।
বিজেপি নেতা প্রীতম সরকার পুরভোটের টিকিট বিক্রি করছেন। এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নামও টেনে এনেছেন প্রীতম।
ত্রিপুরা পুর নির্বাচনের মুখে বারবার দলীয় নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ।
কালীপুজো-ভাইফোঁটা শেষ হতেই কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার বকেয়া ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ভোটের নির্ঘন্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুর দফতরের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আলোচনা প্রায় শেষের পথে।
২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত অর্থাৎ মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ নভেম্বর। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ নভেম্বর।
আগরতলা পুরনিগমে মোট ৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে সব আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর ঘোষিত ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন মহিলা প্রার্থী।
বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরপরই পুরভোটের ইস্যুতে কমিশনকে চিঠি পাঠাল রাজ্য। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোটগ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।