দুদিন আগেই ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তাপস ধারার হয়ে ভোট প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দাকে। এবার কলকাতা কর্পোরেশনের বেহালা পূর্ব ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী স্বপ্না ব্যানার্জির সমর্থনে নামলেন।
শনিবার সন্ধেয় রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ভুবন বাদ্যকরের সঙ্গে আড্ডা জমান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে একটি চায়ের দোকানে জমে ওঠে আড্ডা। এমনকী, বাদামকাকুর সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা যায় 'কালারফুল বয়কে'।
কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চলেছেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা বিদায়ী কাউন্সিলর শামস ইকবাল। কারণ গোটা ওয়ার্ড কার্যত বিরোধী শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লড়াই হতে চলেছে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে। আর তাতে যে জয় একপ্রকার নিশ্চিত তা এখনই বুঝে গিয়েছেন সকলে।
শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে পুরভোট মামলার শুনানি হয়। রাজ্যে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি।
পুর পরিষেবায় অত্যন্ত দক্ষ হলেন অতীন ঘোষ। ১৯৮৫ সাল থেকে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাত বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মাঝে দু’বার ওই ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত থাকায় সেখানে প্রার্থী হননি। এক কথায় তিনি হলেন তৃণমূলের পুরোনো সৈনিক ও একজন পোড়খাওয়া রাজনীতিক।
আগামী ১৯ তারিখই ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে কলকাতাবাসী। এদিকে তার আগে তৃণমূল-বিজেপি বাকযুদ্ধে ক্রমেই জমে উঠছে রাজনীতির ময়দান।
ভোট হোক হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন, একাধিক ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরও ভাবা উচিত।
এরাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাই বিশালাকারের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে রাজ্য সরকারের বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করার পেছনে কোনও যৌক্তিকতা নেই। এ রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ।তাদের মাধ্যমেই কলকাতা পুরভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলেই এদিন মত প্রকাশ করতে দেখা গেল ফিরহাদকে।
'রাজ্যপালের জন্য হাওড়ার পুরভোট সম্ভব হচ্ছে না', বলে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। যদিও পাল্টা বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন রাজ্যপাল।
শনিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার মনোনয়ন দিয়েও, শুক্রবার তা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু, সচ্চিদানন্দ বা তনিমা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।