বিজেপি বিধায়কের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে গাড়িতে একাধিকবার পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির। এই ফলাফলে বেশ বড়সর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা হানাহানির কবলে পড়ে প্রাণ সংশয়ে ভুগছিলেন বহু বিজেপি নেতাকর্মী। তাঁদেরকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসমে আশ্রয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গণনার দিন সকাল থেকেই অবশ্য বদলে গিয়েছে দৃশ্য। জয়ের উল্লাসে এদিন সকাল থেকে উচ্ছ্বাস দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গণনার দিনও ডায়মন্ড হারবার মডেল পুরোদমে চলছে। তৃণমূলের গুন্ডারা বিরোধী এজেন্ট ও প্রার্থীদের বাধা দিয়ে ভোট লুট করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
ভূমিপুত্রের গড় এখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কংগ্রেসের কাছে এক দুর্ভেদ্য চক্রব্যুহ। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সেই ব্যুহের অন্দরে পদ্মফুলের ভিড়ে ঘাসফুল ফোটে কিনা, সেই দিকেই নজর রেখেছে সারা বাংলা।
দিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যপাল গেলেন ভাঙড়ে। সেখান থেকে তাঁর বাসন্তী আর ক্যানিং যাওয়ার কথা রয়েছে। রাজ্যপাল হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে এক কোম্পানি অর্থাৎ ৮২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীয় সক্রিয় সদস্য মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশও। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য বসান হয়েছে সিসিটিভিও।
রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩-এর ফলাফলে নজর দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। ঘাসফুল ফের ফুটবে নাকি গেরুয়া শিবির শেষ হাসি হাসবে, সেটাই এখন দেখার। এক নজরে দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলির পঞ্চায়েত ভোটের ফল।
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ত্রিস্তীয় পঞ্চায়েত ভোটের গণনার সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংএর দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা মঙ্গলবার। অশান্তি রুখতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।