শুভেন্দু বলেন, কোচবিহার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া এই জেলা পরিষদগুলি বিজেপি দখল করত। সঠিকভাবে ভোট হয়নি বলেও দাবি তাঁর।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। ভোটে জিততে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার এই ঘটনা নজিরবিহীন।
সর্বশেষ পাওয়া খবর বলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের দিকেই। বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসার খবর মিলেছে। তবে সেসব পেরিয়েই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তৃণমূল কংগ্রেস।
গণনার দিন শুরু থেকেই কোচবিহারে বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিল তৃণমূল। হার মানেনি বিজেপিও। সকাল থেকেই চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই জেলাতেই বেশ কিছু আসনে এগিয়ে রয়েছে অনিত থাপার দল। মাত্র একটি আসনে জয়ী বিজেপি। ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্সের পেয়েছে একটি আসন।
বেলা তিনটে পর্যন্ত নির্বাচনী ফলাফলের যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে মোট ৬৩,২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ১৭,৭৮৪টি আসন, বিজেপি ২,০৮২টি আসন, সিপিএম ৮৭৭টি, কংগ্রেস ৫৩৮ টি আসন পাচ্ছে।
আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলেও এবার অন্য কথাই বলল। আরাবুলের নিজের গ্রামে জিতল না তৃণমূল।
বিজেপি বিধায়কের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে গাড়িতে একাধিকবার পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির। এই ফলাফলে বেশ বড়সর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা হানাহানির কবলে পড়ে প্রাণ সংশয়ে ভুগছিলেন বহু বিজেপি নেতাকর্মী। তাঁদেরকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসমে আশ্রয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।