ত্রিপুরার আগরতলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসি নিয়ে স্বাগত জানাল হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেস। 'রাজীবের ছেড়ে যাওয়ায় বিজেপির ভালো হয়েছে', কটাক্ষ বিজেপির।
চরম দুর্বিষহ পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে হত এই গ্রামের বাসিন্দাদের। এবছর শাসক দলের প্রতিনিধিরা যখন এই গ্রামে ভোটের প্রচারে আসেন তখন এলাকার শিক্ষক তথা মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান সেই প্রচারের দলে ছিলেন।
ত্রিপুরায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজীব। যোগ দেওয়ার পর মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেককে আলিঙ্গনও করেন। এরপর তিনি বলেন, "স্বীকার করছি ভুল করেছিলাম। আমি অনুতপ্ত।" এনিয়ে রাজীবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
এদিন জয়পুর ভাস্করানন্দ মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতা-কর্মী সহ মোট হাজারটি পরিবারের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল আইএনটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ও জয়পুর ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখ।
ডোমজুড়ে হারের পর থেকেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়েছিল। তখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে রবিবার সত্যি হতে চলেছে সেই জল্পনা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের আগেই ত্রিপুরা সফরে রাজীব। হঠাৎ কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত? তবে কি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদলের জল্পনায় এবার শিলমোহর দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
উত্তরবঙ্গ সফর শেষে বৃহস্পতিবারই গোয়ায় পাড়ি দেবেন মমতা। বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং গোয়াও তৃণমূল জয় করবে বলে আশাবাদী বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ওই দুটি রাজ্য জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই জানিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত সদস্য সহ নানা দল ছেড়ে সাড়ে ৭০০ বেশি সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার বনগাঁর নীলদর্পণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে গাড়াপোতা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিজয় সম্মেলনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক নেতৃত্ব।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করার অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পাশাপাশি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে।