এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে অন্যতম বড় ইস্যু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের আগেই সরকারিভাবে নাগরিকত্ব প্রদান শুরু হয়ে গেল।
তমলুকের প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, 'CAA-র জন্য কেউ নাগরিকত্ব খোয়ালে আমি আপনাদের ফেলা থুতু চাটব। '
বিজেপির ইস্তেহারে জোর দেওয়া হয়েছে মোদী গ্য়ারেন্টিকে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে আরও জোর দেওয়া হয়েছে ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং।
এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার ইচ্ছে সর্বধর্ম সমন্বয়, আপনাদের নিরাপত্তা, আপনাদের জীবন। কোনোও এনআরসি, সিএএ। সব মানুষের নিজস্ব অধিকার থাকা উচিত। আর এই নিয়ে আমি লড়ব, তারজন্য আমায় জেলেও ভরে দিতে পারো"।
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, এনআইএ-র কর্তারা যা করেছে তার প্রমাণ দেওয়ার পরেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, অমিত শাহ পুতুল নাচানোর খেলা খেলাচ্ছেন এজেন্সি দিয়ে।
উল্লেখ্য যে সিএএ ২০১৯ নির্বাচনের আগে বিজেপির জন্য একটি প্রধান প্রচারের এজেন্ডা ছিল। বিরোধিতা সত্ত্বেও, সংসদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে CAA অনুমোদন করেছিল।
অমিত শাহ বলেন, "বিরোধীদের কোনো কাজ নেই। তাদের ইতিহাস হল তারা যা বলে, তারা করে না। মোদীজির ইতিহাস হল বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেছেন, ওটা পাথরে গেঁথে আছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুই কক্ষেই পাস হয়েছিল কিন্তু তখন তা কার্যকর করা হয়নি, তবে চার বছর পরে এই আইনটি পুরো দেশে কার্যকর করা হল। এই আইন আসার ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিমরা সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবে
অসমে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সিপিএমও। কামরুপে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখান হয়। সবমিলিয়ে সিএএ নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়েছে অসমে।
মমতা বলেন, আগামী দিনে অশান্তির খেলা খেলতে চাইছে বিজেপি। আমি আপনাকে এটি ব্যাখ্যা করব। এটা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার শিকড়ের ওপর সরাসরি আক্রমণ। CAA-এর নিয়মগুলিও স্পষ্ট নয়।