সিবিআই নিয়ে মন্তব্য করে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, নিজের দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব
বেচতেন মাছ। আর ছিল বাবার একটা মুদিখানার দোকান। মাঝে নাকি একটা সাইকেল রিপেয়ারিং দোকানও খুলেছিলেন। সংসার চালানোর জন্য নিজেকে স্বনির্ভর করতে কী করেননি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু, রাজনৈতিক কেরিয়ারটি ছিল তাঁর কাছে অনেকটা চিচিং ফাকে-র মতো। সিবিআই তদন্তে তেমনই তথ্য মিলছে।
সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কের কাছে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁর রবিবারের 'সেটিং' মন্তব্য ঘিরে বিটর্কের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি আমার দুঃখের কথা বলেছি। নির্বাচনের পর আমার ৬০ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।
তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন কেঁচো খুড়তে কেউটে বের হওয়ার জোগাড়। একের পর এক সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছে সিবিআই। আর সেই সঙ্গে একের পর এক কুশীলবের নাম জড়াচ্ছে গরু পাচারকাণ্ডে। রবিবার বোলপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।
অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ট বোলপুর পুরসভা কর্মীর বাড়িতে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের এবার হানা দিল সিবিআই। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তির অভিযোগ তুলেই সিবিআই হানা দেয় পুরসভা কর্মীর বাড়িতে। বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআ
বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি দাবি করেছেন যে, কেলেঙ্কারিটি ৮ হাজার কোটি টাকার ছিল৷ আরেকজন বিজেপি নেতা বলেছেন, ১১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির হয়েছে। সিবিআই এফআইআর করেছে যে, কেলেঙ্কারিটি ১ কোটি টাকার ছিল।
গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নতুন সম্পত্তির সন্ধান পেল সিবিআই। এদিন সকালেই বীরভূমের কালিকাপুরে এলাকার রয়েছে ভোলে ব্যোম নামের এই চালকল। এদিন সকালেই সেখানে হানা দেয় সিবিআই কর্তারা।
গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয় তৃণমূলের দুঁদে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পর থেকেই নানা ঘটনাক্রমের মাধ্যমে বারবার শিরোনামে উঠে আসে ভোলে বোম রাইস মিলের নাম। এবার বোলপুরের সেই ভোলে বোম রাইস মিলে পৌঁছল সিবিআই-এর ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সুকন্যার নামে বোলপুরে বিঘার পর বিঘা জমি, চালকল সহ একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। শুধুমাত্র একজন স্কুল শিক্ষি কা হয়ে তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রের খবর হেফাজতে থাকার সময় বারবারই অনুব্রত তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন। আধিকারিকদের কাছে একটাই আর্জি ছিল তাঁর- তিনি তাঁর মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথা বলবেন।