আজবকাণ্ড অসমে। ভোটার সংখ্যা মাত্র ৯০। আর সেখানে ভোট পড়েছে ১৮১টি। ভোট দানে ব্যাপক এই গরমিলের খবর কানে যেতেই নড়ে চড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ৬ দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ওই বুথে পুনর্নিবাচনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনের দিন প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রামের প্রধান সরকারি তালিকা মানতে অস্বীকার করেন। ভোটের দিন তিনি নিজে একটি তালিকা আনেন। সেই তালিকা অনুযায়ী ভোট গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু পোলিং অফিসাররা কেন প্রধানের কথা শুনলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে বুথের নিরাপত্তা নিয়েও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী সেকোসিয়েম ল্যাঙ্গাম, প্রহ্লাদ সিএইচ রায়, পরমেশ্বর চরঙ্গা, স্বরাজ কান্তিদাস ও লালজমবো থাইককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দায়িত্বপালনে অবহেলার কারণেই পাঁচ ভোটকর্মী ও আধিকারিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কমিশন জানিয়েছে এভিএম ও ভিভিপ্যাটের কোনও ক্ষতি হয়নি।
অসমের জিমা হাসাও জেলার হাফলং নির্বাচনী কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল ২ এপ্রিল। ৭৪ শতাংশ ভোট পেয়ে এই কেন্দ্র থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী বীর ভদ্র। এই কেন্দ্রে বাকি অংশে ভোটগ্রহণ ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও অরাজকতার ঘটনা সামনে এসেছে। কমিরগঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ভোট যন্ত্র। যা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে।