শুরু হল ভোটগ্রহণ, মহারাষ্ট্রের পর আরও এক কঠিন পরীক্ষা বিজেপি-র

  • কর্নাটকের ১৫ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন
  • শুরু হল ভোটগ্রহণ
  • কংগ্রেস ও জেডিএস দলের ১৭ জন বিধায়ক অযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় এই ভোট
  • সরকার টিকিয়ে রাখার পরীক্ষার মুখে বিজেপি

 

amartya lahiri | Published : Dec 5, 2019 3:43 AM IST / Updated: Dec 09 2019, 10:31 AM IST

শুরু হল ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের ১৫ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। কংগ্রেস ও জেডিএস দলের ১৭ জন বিধায়ক তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার ফলে এই আসনগুলি ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল সেই ফাঁক পূরণের লক্ষ্যেই এদিনের নির্বাচন। মহারাষ্ট্রের পর ফের আরও এক রাজ্যে সরকার টিকিয়ে রাখার জোর লড়াইয়ের মুখে বিজেপি।  

বর্তমানে  ২০৭ সদস্যের কর্নাটক বিধানসৌধে বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের পক্ষে ১০৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তারমধ্যে একজন নির্দল প্রার্থী। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও তা মোটেই নিরাপদ নয়। কর্নাটক বিধানসভার আসল ২২৪ সদস্যের। ফলে সরকার টিকিয়ে রাখতে হলে এদিনের ১৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ৬টি আসনে জিততেই হবে বিজেপি প্রার্থীদের। তবে মুশকিল হল এই ১৫টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয়েছিল হয় কংগ্রেস অথবা জেডিএস। আবার এই দুই দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের অনেককেই এদিনের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে বিজেপি, যা নিয়ে স্থানীয় স্তরে গেরুয়া শিবিরে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে।

গত জুলাই মাসে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ভেঙে যায় এইচডি কুমারস্বামী সরকার। এই বিদ্রোহী বিধায়কদের স্পিকার কে আর রমেশ কুমার অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন। যার ফলে এই উপনির্বাচনের প্রয়োজন পড়েছে। তবে পড়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন 'অযোগ্য' বিধায়করা। আদালত অযোগ্যতার বিষয়টি বহাল রেখে বিদ্রোহী বিধায়কদের নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দিয়েছে।

মহারাষ্ট্র পথ দেখিয়েছে। বিজেপির হাত থেকে এক এক করে রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে। ফলে এদিনের নির্বাচন বিজেপির কাছে একরকম অ্যাসিড টেস্ট বলা যায়। কংগ্রেস জেডিএস যদি এদিনের নির্বাচনে ৯টির বেশি আসন পেয়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে কিন্তু কর্নাটকে বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকার পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

 

Share this article
click me!