বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্য শাস্ত্রের সূত্রগুলো পরবর্তিকালে 'বাস্তুশাস্ত্র' শিরোনামে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বৈদিক যুগে স্থাপত্য বিজ্ঞান মূলত মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে তা বিস্তার লাভ করে। প্রাচীন যুগে স্থপতিরা কেবল নিছক তৈরির কাজ করতেন না, নির্মাণশৈলী ও পরিকল্পনার বিষয়টিও তদারক করতে হত তাঁদের।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে কেমন হবে তুলা রাশির কর্মজীবন, জেনে নিন
আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচয় লিপিবদ্ধ থাকে এই বিজনেস কার্ডে। তাই অফিস হোক বা ব্যবসা কোনও অপরিচিত ব্যক্তির উপর প্রথমিকভাবে প্রভাব ফেলে আপনার এই বিজনেস কার্ড। তাই বাস্তুতন্ত্রের মতে আপনার বিজনেস কার্ডটি এমন হওয়া প্রয়োজন তা জেনে নেওয়া দরকার। যা আপনার কাজের পরিচয় সম্পর্কে অজ্ঞাত ব্যক্তি উপর সুন্দর প্রভাব সৃষ্টি করবে এবং আপনার ব্যবসার উন্নতিতে সাহায্য করবে। তাই বিজনেস কার্ডটি ঠিক কেমন হওয়া প্রয়োজন তার সম্পর্কে জানাচ্ছে বাস্তুতন্ত্র।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবারের সারাদিন কেমন কাটবে, দেখে নিন আজকের রাশিফল
বিজনেস কার্ড তৈরির আগেই কার্ডের মাপ, ডিজাইন ও রঙের প্রয়োগ ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এই গুলোর মাধ্যমেই কার্ডটি হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়। একটি সুন্দর ভিজিটিং কার্ডের মাধ্যমে যে শুধুই কর্মসূত্রের সম্পর্কের বিস্তার হবে তাই নয়, সেই সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। যে কোনও ধরনের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত তথ্য এবং মোবাইল নম্বরে অবশ্যই লাল অথবা ধূসর রং ব্যবহার করা উচিৎ এবং লেখার জন্য কার্ডের উপরের ডানদিকের কোনটি ব্যবহার করুন। বাস্তুমতে বিজনেস কার্ড কখনই বিষম কোণযুক্ত হওয়া উচিত নয়। কার্ডের প্রতিটি কোণ ৯০ ডিগ্রী মাপের হওয়া প্রয়োজন। কার্ডের একদম মাঝামাঝি জায়গাটি ফাঁকা রাখার চেষ্টা করুন। কার্ডে নিজের নাম লেখার জন্য গাঢ় নীল, কালো অথবা গাঢ় সবুজ রং ব্যবহার করা প্রয়োজন।