২৫ মার্চ বুধবার থেকে হিন্দু নবসংবাদ শুরু হচ্ছে। এর সঙ্গে চৈত্র মাসের নবরাত্রিও শুরু হবে। ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পালিত হবে রাম নবমী। এই দিনগুলিতে দেবী দূর্গার উপাসনা এবং দেবীর মন্দিরগুলি দেখার প্রচলণ রয়েছে। তবে এই বছর করোনাভাইরাসের কারণে কারও বাড়ী থেকে বের হওয়া উচিৎ নয়। তাই মন্দিরে যেতে না পারলেও ঘরে বসেই দেবীর আরাধনা করতে পারবেন আপনি। চৈত্র নবরাত্রিতে ঘরে বসে কী কী ভাবে সারবেন মায়ের পুজো জেনে নিন।
আরও পড়ুন- চৈত্র মাস কেমন প্রভাব ফেলবে বৃষ রাশির উপর, দেখে নিন
হিন্দুশাস্ত্র মতে, মনে করা হয় চৈত্র নবরাত্রির প্রতিপদে দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল। এই দিনে ঈশ্বর ব্রহ্মা মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন। এই কারণেই এই শুভ তিথিতে গুড়িপদওয়া উদযাপিত হয়। যা অবাঙ্গালিরা পালন করে থাকেন। এই শুভ তিথিতে মায়ের পুজো সারার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠেই পুজোর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিন। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর সবার প্রথমে নিজের হাত দেখুন। এই নিয়মকে বলা হয় করদর্শন। সেই সঙ্গে এই মন্ত্র উচ্চারণ করুন -
"করাগরে বাসতে লক্ষ্মী
করমাদে সরস্বতী
করমুলে তু গোবিন্দঃ
প্রফতে করদর্শনম্ "
আরও পড়ুন- সোমবারের সারাদিন কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন রাশিফল
দিনের শুরুটি এই মন্ত্রটি দিয়ে করুন, এতে আপনার দিন শুভ হবে। এর পরে স্নানের সময় এই মন্ত্র জপ করুন- "গাঙ্গে চ যমুনে চাভ গোদাবরী সরস্বতী।
নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলে আসমিন সন্নিধিম কুরু।" এই মন্ত্রটি জপ করে বাড়িতে থেকেই তীর্থযাত্রা স্নানের যোগ্যতা অর্জন করা যায়। এমনটাই মনে করা হয় হিন্দু শাস্ত্রে। স্নানের শেষে 'ওম সূর্য নমঃ' মন্ত্রটি জপ করে সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করুন। এরপরে শুরু করুন পুজোর কাজ। চৈত্র নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার পূজা করার আগে গণেশের পুজো করা বাঞ্ছনিয়। গণেশ হলেন এমন দেবতা, যা প্রত্যেক শুভ কাজই তাঁর উপাসনা দিয়ে শুরু হয়।
আরও পড়ুন- চৈত্র মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মেষ রাশির উপর, দেখে নিন
এরপর পুজোর স্থানে দেবী দুর্গার প্রতিকৃতিটি জল দিয়ে স্নান করুন। এরপরে, একট টুকরো বস্ত্র দান করুন। ফুল, মিষ্টি ও পুজোর অন্যান্য উপাসনা উপকরণ সাজিয়ে দিন। সম্ভব হলে মাকে লাল চেলি দিন। আসনে নারকেল রাখুন। মায়ের সামনে প্রদীপ জ্বালান। এরপর কমপক্ষে ১০৮ বার দুর্গা নাম জপ করুন। এই মন্ত্র জপ করার সময় অবশ্যই রুদ্রাক্ষ মালার সাহায্য নিন। মাকে পুজোর ফল অর্পণ করুন এবং পুজো শেষে সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করুন। চৈত্র নবরাত্রিতে প্রতিদিন দেবীর পুজো করার পরে বাড়ির আশেপাশের দুঃস্থদের মধ্যো খাদ্যশস্য এবং প্রসাদ দান করুন। সম্ভব হলে বস্ত্রও দান করতো পারেন। ছোট মেয়েদের মিষ্টি খাওয়ান। কারণ নবমীতেই কুমারী পুজো হয়। যদিও এই পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয়।