হিন্দু সম্পদ্রায়ে সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন গণেশ। মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা এই গনপতি। হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করা হয়। হিন্দু পুরাণ মতে, ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতেই শিব-পার্বতী পুত্র মর্তে অবর্তীণ হয়েছিলেন। শুধুমাত্র দেশেই নয় দেশের বাইরেও এই উৎসব ততটাই জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন- এই মাস কেমন প্রভাব ফেলবে বৃশ্চিক রাশির উপর, দেখে নিন
প্রতি শুক্লপক্ষের চতুর্থীকে বলা হয় বিনয়াক চতুর্থী। সমস্ত নিয়ম মেনে এই ব্রত পালন করলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এবার ফাল্গুন মাসের বিনায়ক চতুর্থী ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পালিত হবে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে এটি হিন্দু পঞ্জিকার শেষ চতুর্থী। এই দিন গণেশের উপাসনা এবং উপবাসের ফলে সকল মনের আশা পূর্ণ হয়। তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পুরোহিত ছাড়াই বিনয়াক চতুর্থী পুজো করে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি আনতে পারবেন।
আরও পড়ুন- কেমন কাটবে বৃহস্পতিবারের সারাদিন, দেখে নিন আজকের রাশিফল
পুজোর উপকরণ- বিনয়াক চতুর্থীতে পুজোর জন্য উপকরণ হিসেবে রাখুন- পানপাতা, সুপুরি, ধূপ-ধুনো, ঠাকুরের জন্য নতুন পোষাক, ফুল, দূর্বা, মোদক, নারকেল, চন্দন কাঠ।
আরও পড়ুন- ব্যবসায় কতটা উন্নতি হবে, জেনে নিন এই যোগগুলি থেকে
গণেশ মুর্তি স্থাপনের নিয়ম- মূর্তি স্থাপনের আগে সেই জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে, শুদ্ধ কাপড়ে মূর্তি স্থাপন করে মন্ত্র উচ্চারণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে কোনও পঞ্জিকায় এই মন্ত্র সহজেই পাওয়া যাবে। এরপরেই ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করে গণেশ বন্দনা করুন। মূর্তিতে লাল চন্দনের টিকা দিয়ে, নারকেল ভেঙ্গে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর করুন। ঠাকুরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনে অন্তত তিনবার আরতি করতে হবে। এরসঙ্গে মোদক, লাড্ডু, ভোগ নৈবেদ্য নিজের সাধ্য মত দিয়ে সেরে ফেলুন পুরোহিত ছাড়াই গণেশ পুজো বাড়িতে। আর সংসার ভরিয়ে তুলুন সুখ ও সমৃদ্ধিতে।