হিন্দু শাস্ত্র ও পুরাণ মতে জীবনের সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে সংকোটমোচন হনুমানজীর স্মরণ করা উচিত। আগামীকাল চৈত্র মাসের পূর্ণিমাতে সারা দেশে পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। এটি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম উৎসব। আগামী ৮ এপ্রিল বুধবার পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। মনে করা হয় এই দিনেই মাতা অঞ্জনার কোলে রামনবমীর পরেই জন্মগ্রহণ করেন পবনপুত্র হনুমান।
আরও পড়ুন- বাংলার নতুন বছরে অর্থ ও সম্পত্তির প্রাপ্তি যোগ রয়েছে এই রাশিগুলির
পূর্ণিমা শুরু- বাংলার ২৪ চৈত্র ১৪২৬, ইংরেজি ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা বেজে ৭ মিনিটে।
পূর্ণিমা শেষ- বাংলার ২৫ চৈত্র ১৪২৬, ইংরেজি ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮ টা বেজে ৪ মিনিটে।
আরও পড়ুন- এপ্রিল মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মিথুন রাশির উপর, দেখে নিন
হিন্দু পুরাণ মতে হনুমানের জন্ম হয় ভগবান শিবের বরে, হনুমান এর মাতা অঞ্জনা হলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত, স্বয়ং ভগবান শিব অঞ্জনার ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে তাকে বীর সন্তানের জননীর বর প্রদান করে ৷ হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে পূরাণ কাহিনিতে। রামায়ণ বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয়। রামায়ণের মূল চরিত্র রাম যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে তার অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তিনি বায়ুদেবতার পুত্র। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত।
মহাবীর হনুমান ‘রামায়ণ’-এর চরিত্র। তিনি অমর। তাই পরবর্তী মহাকাব্য ‘মহাভারত’-এও তার সাবলীল উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এই মহাকাব্যে তিনি কেমন যেন এক ধীর-শান্ত ব্যক্তিত্ব। হনুমান এবং ভীম দু’জনেই পবনপুত্র। সেদিক থেকে দেখলে, তাঁরা ভ্রাতা। পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের সময়ে হনুমান এক অসুস্থ এবং বৃদ্ধ বানরের বেশে ভীমকে দেখা দেন। ভীম ছিলেন অসম্ভব আত্মগর্বী। তাঁকে শিক্ষা দেওয়াই ছিল বজরং বলীর উদ্দেশ্য। ভীমের পথ রুদ্ধ করে অসুস্থ বৃদ্ধের ছদ্মবেশে হনুমান শুয়ে ছিলেন। ভীম তাঁকে অতিক্রম করতে চাইলে তিনি ভীমকে বলেন তাঁর লেজটি সরিয়ে চলে যেতে। ভীম বহু চেষ্টাতেও সেই লেজ সরাতে পারেননি। শেষে তিনি অনুভব করেন, এই ব্যক্তি কোনও সাধারণ বানর নন। শেষ পর্যন্ত তিনি হনুমানের স্মরণাপন্ন হন।