হিন্দুমতে নিম কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করতে তুষ্ঠ হন দেবতা। বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করেন। জলে নিম পাতা মিশিয়ে স্নান করলে কেতু সংক্রান্ত দোষ দূর হয়।
হিন্দু শাস্ত্রে কতগুলি গাছ বিশেষ উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তারমধ্যে একটি হল নিম গাছ। পুরানেও নিম গাছের উল্লেখ রয়েছে। নিম গাছ আবার এমন একটি গাছ যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আপনি জানেন কী এই গাছটি জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতিষ অনুসারে নিম গাছের সঙ্গে শনি ও কেতুর গভীর যোগ রয়েছে। এই দুটি গ্রহের দোষ কাটিয়ে দিতে পারে নিম গাছ। তাই জ্যোতিষ মতে বলা হয় প্রত্যেক বাড়িতে নিম গাছ লাগান যেতে পারে। তবে তা নিময় মেনে লাগাতে হবে।
নিম গাছের গুরুত্ব-
হিন্দুমতে নিম কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করতে তুষ্ঠ হন দেবতা। বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করেন। জলে নিম পাতা মিশিয়ে স্নান করলে কেতু সংক্রান্ত দোষ দূর হয়।
তবে নিম গাছেক সঠিক ব্যবহার প্রয়োজনঃ
কথায় রয়েছে নিম দৈব শক্তির আবাসস্থল। তাই এই গাছ সর্বদা বাড়ির দক্ষিণ দিকে লাগাতে হবে। দক্ষিণ পশ্চিম কোন হলেও সুফল পাওয়া যাবে। ভূলেও বাড়ির সীমানার উত্তর দিকে নিম গাছ লাগাবেন না। দক্ষিণ দিকে নিম গাছ লাগালে পিতৃপক্ষের কৃপা পাওয়া যায়। তাই পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি দিয়েও পারে। নিম গাছকে অনেকেই মঙ্গল গ্রহের ধারক বলেন। তাই এই গাছ দক্ষিণ দিকে লাগাতে হয়।
নিম কাঠের মালা-
শনির দোষ কাটাতে আর শনিদেবতার আশীর্বাদ পেতে নিম কাঠের মালা পরুন। এতে শনি দেবতার অশুভ প্রভাব কেটে যায়। রবিবার একটি নিম গাছে জল দেবেন। কুণ্ডলীতে কোনও অশুভ ফল থাকলে তা কেটে যায়।