এই চন্দ্রগ্রহণ একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই অবস্থায় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের আলোকে ঢেকে দেয়। আজকের চন্দ্রগ্রহণের নাম দেওয়া হচ্ছে ব্লাড মুন।
২০২২ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে ১৬ মে, অর্থাৎ আজ। এই চন্দ্রগ্রহণ একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই অবস্থায় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের আলোকে ঢেকে দেয়। আজকের চন্দ্রগ্রহণের নাম দেওয়া হচ্ছে ব্লাড মুন। গ্রহন সম্পর্কিত অনেক পৌরাণিক রীতি রয়েছে। আসুন জেনে নিই চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত বিশেষ পৌরাণিক রীতি এবং গ্রহনের সময় কি করা উচিত নয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময়
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ১৬ মে সকাল ৮ টা বেজে ৫৯ মিনিট থেকে ১০ টা বেজে ২৩ মিনিট পর্যন্ত ঘটবে। ১৫ মে রাতে, চাঁদ তার স্বাভাবিক আকারের ১২ শতাংশে দৃশ্যমান হবে। তবে ভালো করে লক্ষ্য করলেই গ্রহণ দেখা যাবে।
গ্রহনকালে খাওয়া নিষিদ্ধ
এর চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়, তাই খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবে অসুস্থ মানুষ ও শিশুরা এই সময়ে হালকা নাস্তা খেতে পারেন।
গ্রহনকালে স্নান করবেন না
একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে গ্রহণের সময় স্নান করা উচিত নয়। আসলে এটা বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহনকালে স্নান করলে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই গ্রহন শেষ হলেই স্নান করতে বলা হয়। গ্রহন শেষ হওয়ার পর জলে গঙ্গাজল বা তুলসী পাতা মিশিয়ে স্নান করতে বলা হয়।
গ্রহনের সময় ঘুমানো উচিত নয়
গ্রহনকালে ঘুমানো নিষিদ্ধ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে ঘুমালে গ্রহনের নেতিবাচক শক্তি শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
কাউকে আঘাত করা উচিত নয়
এটি বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের সময় আঘাতের কারণে ক্ষত নিরাময়ের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, সূর্যগ্রহণের সময় শরীরকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চাঁদ খালি চোখে দেখা উচিত নয়
গ্রহনকালে চাঁদকে খালি চোখে দেখা উচিত নয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে চোখের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে, চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। যদিও দূরবীন দিয়ে দেখা যায়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য গ্রহন ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়
সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। আসলে এটা বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের নেতিবাচক শক্তি ভ্রূণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের এই কাজটি করা উচিত নয়
চন্দ্রগ্রহণের সময় মহিলাদের ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাতে অনাগত শিশুকে সূর্যগ্রহণের কালো ছায়া থেকে রক্ষা করা যায়। এটি দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। তাই চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের বাইরে বের হওয়া নিষেধ।