ভুলেও ঠাকুরের পুজোয় এই সব ফুল ব্যবহার করবেন না, আপনার অজান্তেই ঘটে যেতে পারে বিপদ

প্রত্যেক দেবশক্তির নির্দিষ্ট আরাধনার উপায় রয়েছে। ফুলও সেই নির্দিষ্ট পূজা রীতির মধ্যেই পড়ে। সব ফুল দিয়ে সব দেবতা বা দেবদেবীদের পুজো করা যায় না। 

Parna Sengupta | Published : Apr 4, 2022 10:33 AM IST

আজ বাস্তুশাস্ত্রে, আমরা দেবতা এবং ফুল সম্পর্কে কথা বলব। ফুল ছাড়া দেবতার পুজো অসম্পূর্ণ। মনে বিশ্বাস এবং ভক্তি নিয়ে কেউ যদি কোনও দেব-দেবীকে ফুল নিবেদন করেন, তাহলে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদে জীবনের যে কোনও কষ্ট কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে দেব-দেবীদের আশীর্বাদে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে জীবনে। তবে প্রত্যেক দেবশক্তির নির্দিষ্ট আরাধনার উপায় রয়েছে। ফুলও সেই নির্দিষ্ট পূজা রীতির মধ্যেই পড়ে। সব ফুল দিয়ে সব দেবতা বা দেবদেবীদের পুজো করা যায় না। 

জ্যোতিষ অনুযায়ী সাদা এবং হলুদ ফুল বিষ্ণুর কাছে প্রিয়, লাল ফুল সূর্য, গণেশ এবং ভৈরবের প্রিয়, ভগবান শঙ্কর সাদা ফুল পছন্দ করেন। তাই পুজো করার সময় আরাধ্য শক্তির ধরণ, কোন রঙ বা গন্ধ অনুকূল নয় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

কোন ফুল কাকে উৎসর্গ করবেন না

ভগবান বিষ্ণুকে অক্ষত অর্থাৎ ধানের ফুল, মাদার এবং দাতুরার ফুল দেওয়া উচিত নয়। 

ডোব, মাদার, হরসিঙ্গার, বেল ও টগর দেবীকে নিবেদন করা উচিত নয়। 

চম্পা ও পদ্ম ব্যতীত অন্য কোনো ফুলের কুঁড়ি মাকে নিবেদন করা উচিত নয়, কাটসারাইয়া, নাগচাঁপা, বৃহতী ফুল নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়।

তাহলে কাকে কোন ফুল দিয়ে পুজো করবেন

ধুতরো ফুল নিবেদন করে শিব ঠাকুরের আরাধনা করলে দেবাদিদেব এতটাই প্রসন্ন হন যে ভক্তের মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, প্রতি সোমবার এই ফুলটি নিবেদন করে শিব ঠাকুরের পুজো করলে আরও নানাবিধ উপকার মেলে। 

শাস্ত্র মতে জুঁই ফুল নিবেদন করে প্রতি বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর অরাধনা করলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়

শাস্ত্র মতে দিওয়ালি এবং লক্ষ্মী পুজোর সময় পদ্ম ফুল নিবেদন করে মায়ের অরাধনা করলে এবং দেবীর সামনে পদ্ম বীজের মালা রাখলে নাকি আরও দ্রুত উপকার মেলে।

গাঁদা ফুল দিয়ে প্রতি বুধবার দেবের আরাধনা করলে গণেশ দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদ মিলতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয়, তখন পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া তো লাগেই, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।

জবা ফুলের পাপড়ি অনেকটা মা কালীর জিহ্বার মতো দেখতে। সেই সঙ্গে লাল রংটা মা কালীর শক্তির প্রতীকও বটে। তাই তো মাতৃশক্তির অরাধনা করার সময় এই ফুলটি নিবেদন করলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে দেবীর আশীর্বাদে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে।

প্রতি শুক্রবার যদি পলাশ ফুল নিবেদন করে বিদ্যা দেবীর অরাধনা করা হয়, তাহলে মা এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে বাচ্চাদের পড়াশোনায় উন্নতির পথ তো প্রশস্ত হয়ই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে চটজলজদি উন্নতির সম্ভাবনাও বাড়ে।

Share this article
click me!