জানেন কি থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রক্তের রোগ। ৩ মাস, ৬ মাসে রক্ত না পেলে রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এমতাবস্থায় এই বিষয়ে জানা খুবই জরুরী।
ব্লাড ক্যান্সার, হিমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া রক্তের মারাত্মক রোগ। ব্লাড ক্যান্সার রক্তের একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। কিন্তু রক্তের রোগের ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়াও কম গুরুতর নয়। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস প্রতি বছর ৮ মে সারা বিশ্বে পালিত হয়। বিশ্বে এই রোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য WHO একটি প্রচার চালায়। কিন্তু জানেন কি থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রক্তের রোগ। ৩ মাস, ৬ মাসে রক্ত না পেলে রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এমতাবস্থায় এই বিষয়ে জানা খুবই জরুরী।
থ্যালাসেমিয়া কি?
থ্যালাসেমিয়া একটি জেনেটিক ব্যাধি হিসাবে বিবেচিত হয়, যার অর্থ এই রোগটি এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি। এই রোগে শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। হিমোগ্লোবিন শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে লোহিত রক্তকণিকায় প্রোটিন অণু হিসেবে কাজ করে। কিন্তু থ্যালাসেমিয়ায় RBC দ্রুত ধ্বংস হতে শুরু করে। এই কারণে রোগীর রক্তশূন্যতা শুরু হয়।
শৈশব রোগ সম্পর্কে তথ্য
মা বা বাবা দুজনেই যদি সিঙ্গেল জিন মাইনর থেকে যায়, তাহলে তাদের এই রোগ হয় না। একে বলা হয় বিটা থ্যালাসেমিয়া। কিন্তু মা-বাবা উভয়ের মাইনর জিন যদি সন্তানের মধ্যে আসে, তবে এই অবস্থা থ্যালাসেমিয়া মেজরের। এতে রক্তের গঠন বন্ধ হয়ে যায়। জন্মের ৬ মাসের মধ্যে শিশুর শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি হচ্ছে না বলে জানা যায়। ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে তার রক্ত দিতে হবে। রক্ত না দিলে শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তাদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন হয়।
রক্তশূন্যতা কেন হয়?
থ্যালাসেমিয়াই রক্তশূন্যতার একমাত্র কারণ নয়। অন্যান্য কারণেও রক্ত কম হতে পারে। পুষ্টির অভাব, রক্তস্বল্পতা রক্তস্বল্পতা হতে পারে। মহিলাদের পিরিয়ড রক্তের অভাবের প্রধান কারণ। শিশুরাও পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না, যার কারণে তাদের মধ্যে রক্তও কমে যেতে পারে। ভিটামিন B12, ফলিক অ্যাসিডও কম রক্তের প্রধান কারণ।