পারিবারিক তিক্ততার জন্য পুরুষরা পরস্ত্রীর কাছে যেতে বাধ্য হয়। বাধ্য হয় অন্য নারীর প্রেমে পড়তে বা সম্পর্ক তৈরি করার জন্য। এরই কতগুলি কারণ রয়েছে।
চাণক্য সমাজ ও নীতিশাস্ত্রের পণ্ডিত। অর্থ, কাম, মোক্ষ , পরিবার, সমাজিক বিষয় নিয়ে তিনি একাধিক নিয়মনীতির কথা বলেছেন। তবে চাণক্য নীতি অত্যান্ত কঠিন আর কঠোর। সুখী দাম্পত্য ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ- তাও জানিয়েছেন চাণক্য।
তবে অনেক সময় দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নানা কারণে তিক্ত হয়ে যায়। স্বামী বা স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রের পারিবারিক তিক্ততার জন্য পুরুষরা পরস্ত্রীর কাছে যেতে বাধ্য হয়। বাধ্য হয় অন্য নারীর প্রেমে পড়তে বা সম্পর্ক তৈরি করার জন্য। এরই কতগুলি কারণ রয়েছে।
চাণক্যনীতি অনুযায়ী দাম্পত্য সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার কারণ হল-
দাম্পত্য সম্পর্ক যত পুরনো হয় ততই টান কমে যায়, তিক্ততা তৈরি হয়। স্বামীস্ত্রীর কথাবার্তায় মাধুর্য নষ্ট হয়ে যায়। সেই কারণে স্বামী অন্যত্র ভালবাসার সন্ধানে বেরিয়ে যায়।
সদ্য বিবাহিত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের যত্ন নেয়। কিন্ত সম্পর্ক পুরনো হওয়ার পরে স্বামী-স্ত্রী নিজনিজ ক্ষেত্র ব্যস্ত হয়ে যায়। মাঝখানে আসে সন্তানরা। তাতেই সম্পর্কের মাধুর্য নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ে দায়িত্ব। সময়িক মুক্তি পেতে স্বামী অন্যত্র যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পরনারী বা পরস্ত্রীর প্রতি আশক্ত হয়ে পড়ে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মেরুদণ্ড হল ভরসা। একবার বিশ্বাসভঙ্গ হলে স্ত্রী- স্বামীর থেকে দূরে সরে যায়। সেই জায়গা সহজেই দখল করতে পারে অন্য নারী।
চাণক্যনীতি অনুযায়ী সন্তানের জন্মের পর থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। দায়িত্বের ভারে চাপা পড়ে যায় সম্পর্কের উষ্ণতা। শারীরিক সম্পর্কও তৈরিতে নানাবিধ বাধা তৈরি হয়। সেই কারণেই স্বামী অন্য মহিলার দিকে ঝুঁকে পড়েন।