১০০ বছর পরে মহালয়ার তিথিতে হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, জেনে নিন এর শুভ অশুভ ফলাফল

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যগ্রহণের ঘটনাকে শুভ বলে মনে করা হয় না। তবে এই বছর প্রায় ১০০ বছর পরে মহালয়ার দিন হতে চলেছে সূর্যগ্রহণ।

 

deblina dey | Published : Aug 21, 2023 5:06 AM IST / Updated: Aug 21 2023, 10:52 AM IST

জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণ অবশ্যই প্রতি বছর ঘটে। যখনই সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয়, তখন তা অবশ্যই সকল মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যগ্রহণের ঘটনাকে শুভ বলে মনে করা হয় না। তবে এই বছর প্রায় ১০০ বছর পরে মহালয়ার দিন হতে চলেছে সূর্যগ্রহণ।

২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ হবে। ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্যগ্রহণ সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ এ ঘটবে। ১৪ অক্টোবর শনিবার রাত ৮ টা বেজে ৩৪ মিনিট থেকে এই গ্রহণ শুরু হবে, যা মধ্যরাতে ২ টো বেজে ২৫ মিনিটে শেষ হবে। এই গ্রহণটি হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, যা হবে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে।

বিশেষ বিষয় হল আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে সূর্যগ্রহণ হবে তা কন্যা ও চিত্রা নক্ষত্রে হবে। এই বছর ২টি সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে। প্রথম সূর্যগ্রহণ হয়েছিল এপ্রিল মাসে এবং দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ অক্টোবরে ঘটতে চলেছে। একে বলা হয় পূর্ণগ্রাস বা কঙ্কনকৃতি সূর্যগ্রহণ। যখন চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব এমন হয় যে চাঁদ সূর্যের মাঝখানে চলে আসে, তখন তাকে কঙ্কনকৃতি সূর্যগ্রহণ বা বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ বলে। যদিও এই গ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না।

জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৩ সালে চারটি গ্রহণ হবে। সূর্যগ্রহণ একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা, তবে এই গ্রহণ ভারতকে প্রভাবিত করবে না। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণ হবে রাত ৮টা ৩৪ মিনিট থেকে মধ্যরাত ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। কোনও পরিমাণে এর প্রভাব খুব বেশি দেখা যাবে না।

সূর্যগ্রহণ কি

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী সূর্যগ্রহণের সূতকের গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই সময়ে কোনও শুভ কাজ করা হয় না। হিন্দু ধর্মে গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ জ্যোতির্বিদ্যা এবং ধর্মীয় উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে বিবেচিত হয়। চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে যায় তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছায় না। এর নাম দেওয়া হয়েছে সূর্যগ্রহণ। কঙ্কনকৃতি সূর্যগ্রহণ বলা হয় যখন চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব এমন হয় যে চাঁদ সূর্যের ঠিক মাঝখানে চলে আসে, এমন পরিস্থিতিতে সূর্যের চারপাশে একটি বলয় আকৃতির আকৃতি তৈরি হয়, এই গ্রহণটিকে একটি বৃত্তাকারও বলা হয়। সূর্যগ্রহণ বলা হয়।

১৪ অক্টোবর দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ

জ্যোতিষী জানিয়েছেন, বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবর। এটি হবে বৃত্তাকার, যা ভারতে দেখা যাবে না। সে কারণে দেশে এর কোনও ধর্মীয় গুরুত্ব থাকবে না। টেক্সাস থেকে শুরু করে এই সূর্যগ্রহণ মেক্সিকো থেকে দৃশ্যমান হবে পাশাপাশি মধ্য আমেরিকা, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিলের কিছু অংশ পেরিয়ে আলাস্কা ও আর্জেন্টিনা পর্যন্ত যাবে। এটিও ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তাই এর সুতক আমল বৈধ হবে না। এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, গুয়াতেমালা, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, কিউবা, বার্বাডোস, পেরু, উরুগুয়ে, অ্যান্টিগুয়া, ভেনিজুয়েলা, জ্যামাইকা, হাইতি, প্যারাগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার এলাকা ব্যতীত। ব্রাজিল, ডোমিনিকা, বাহামা ইত্যাদি জায়গায় দৃশ্যমান হবে।

সূতক আমল বৈধ হবে না

বছরের এই শেষ সূর্যগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না। এই কারণেই এই সময়কালে ভারতীয় ভূখণ্ডে সূতক আমল বৈধ হবে না। এই সূর্যগ্রহণ প্রধানত মেক্সিকো, কিউবা, বার্বাডোস, অ্যান্টিগুয়া, চিলি, ডোমিনিকা, বাহামা, কানাডা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, জ্যামাইকা, হাইতি, আমেরিকা, কলম্বিয়া প্রভৃতি দেশে দৃশ্যমান হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি

জ্যোতিষাচার্য বলেন, সূর্যগ্রহণের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ বাড়বে। এতে ভূমিকম্প, বন্যা, সুনামি, বিমান বিধ্বস্তসহ বড় কোনও অপরাধীর দেশে ফিরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম। সিনেমা ও রাজনীতি দুঃখজনক খবর দিতে পারে, ব্যবসায় উন্নতি হবে, রোগবালাই কমবে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, আয় বাড়বে, বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অর্থাৎ সারা বিশ্বে রাজনৈতিক পরিবেশ তুঙ্গে থাকবে, রাজনৈতিক অভিযোগ থাকবে। আরও পাল্টা অভিযোগ, ক্ষমতার সংগঠনে পরিবর্তন আসবে, সারা বিশ্বে সীমান্তে উত্তেজনা থাকবে, আন্দোলন, সহিংসতা, পিকেটিং, হরতাল, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বিমান দুর্ঘটনা, বিমানের ত্রুটি, দেশে অশান্তি ও অগ্নিসংযোগ।

Share this article
click me!