আমলকি একাদশীর ব্রতে যদি আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা না করেই উপবাস করে ফেলেন, তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে মান্ধাতা-বশিষ্ঠ সংবাদে ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। ফাল্গুন মাসে চন্দ্র পাক্ষিকের একাদশী (এগারোতম দিন), শুক্লপক্ষ বা চন্দ্র চক্রের মোম পর্যায়কে বলা হয় আমলকী একাদশী।
২০২৪ সালে আমলকী একাদশী পড়েছে ২১ মার্চ তারিখে। এই দিন দুপুর ১ টা বেজে ৪১ মিনিট থেকে শুরু করে বিকেল ৪ টে বেজে ৭ মিনিট পর্যন্ত চলবে ব্রতের শুভ মুহূর্ত। এই মুহূর্তে উপবাস পালন করলে যেকোনও ভুলচুক সম্পর্কে সাবধান থাকতে হয়।
-
আমলা, বা আমলকীর নাম থেকেই এই ব্রতের নামকরণ হয়েছে আমলকী একাদশী। আমলকী বহু ধরনের ঔষধি গুণের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন আয়ুর্বেদ-বিদ্যায় এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। একাদশী ব্রত দশমী তিথির সন্ধ্যা থেকে দ্বাদশী তিথির সকাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে আমলকি একাদশীর ব্রতে যদি আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা না করেই উপবাস করে ফেলেন, তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ব্রত পালন করার আগে অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে নিন।
এছাড়াও, যদি আপনি কোনও ওষুধ খেতে থাকেন, তাহলে উপবাস পালন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে এই ব্রত রাখায় কোনও বাধা নেই।
ব্রতের নিয়ম:
– একাদশী তিথির দিন ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠুন
– সকালে উঠেই আগে স্নান করুন এবং পরিষ্কার জামাকাপড় পরুন।
– ঈশ্বরের নামে ধ্যান করুন, তারপর, সংকল্পের জন্য প্রস্তুত হন (আন্তরিকভাবে ব্রত পালন করুন)
– যতক্ষণ আপনি উপবাস পালন করবেন ততক্ষণ ব্রহ্মচর্য বজায় রাখুন।
– সারাদিন ধরে পেঁয়াজ, রসুন, মাংস, চাল, গম, মসুর ডাল এবং ডাল খাবেন না।
– মদ্যপান, বা যে কোনও নেশাদ্রব্য এড়িয়ে চলুন।
– ফল, দুধ, সাবুদানা খিচুড়ি, বা ময়দার খাবার খেতে পারেন।
– এইদিন অভাবী মানুষদের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিস দান করুন।
– সারাদিন ‘ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায়’ মন্ত্র জপ করুন।
– একাদশী তিথিতে পূজা করার পর বিষ্ণু সহস্রনাম, ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করা স্তোত্র এবং আমলকী একাদশী ব্রতকথা পড়ুন।