ঝাঁটা বা ঝাড়ুর ব্যবহারে যত্নবান হওয়া জরুরি। তবে ঝাঁড়ু ব্যবহারের থেকেও বেশি যত্ননেওয়া উচিৎ এটি বাতিলের সময়।
ঝাঁটা বা ঝাড়ু কিন্তু দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক।কারণ সম্পদ আর সমৃদ্ধের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা লক্ষ্মী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পছন্দ করেন। কারণ ঝাঁটাই ঘর পরিষ্কারের অন্যতম সরঞ্জাম। আর সেই কারণে ঝাঁটা বা ঝাড়ুর ব্যবহারে যত্নবান হওয়া জরুরি। তবে ঝাঁড়ু ব্যবহারের থেকেও বেশি যত্ননেওয়া উচিৎ এটি যখন বাতিল করবেন বা ফেলে দেবেন তখন। ঝাঁড়ু রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই ঝাড়ু ফেলে দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুশাস্ত্র মতে।
ঝাঁটা বা ঝাড়ু রাখার নিয়মঃ
পুরনো ঝাঁটা বা ঝাঁড়ু ফেলে দেওয়ার আগে কতগুলি নিয়ম মানতে হবে। বৃহস্পতিবার কখনই ঝাঁটা ফেলে দেবেন না। শুক্রবার ও শনিবারও ঝাঁটা ফেলে দেবেন না। এই দিনগুলিতে ঝাঁটা ফেললে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হয়।
বাস্তু অনুযায়ী ঝাঁটা ছুঁড়ে ফেলবেন না। তাতেও মা লক্ষ্মী রেগে যান। যেখানে বাড়ির আবর্জনা ফেলেন সেখানেই ঝাঁটা ফেলেবেন । কিন্তু ছুঁড়ে নয়।
সন্ধ্যেবেলা ঝাঁটা ফেলবেন না। আবার ভর দুপুর বেলা ঝাঁটা ফেলবেন না। তাতেও সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে স্নানের আগে সকাল বেলে ঝাঁটা বাতিল করুন।
নতুন ঝাঁটা কেনার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো ঝাঁটা বাতিল করবেন না। তাতে মা লক্ষ্মী রুষ্ট হন। নতুন ঝাঁটা কিনে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারের পরেই তা বাতিল করতে হবে।
পূর্ণিমা আর অমাবস্যার দিনে ঝাঁটা বাতিল করবেন না। তাতে দেবী লক্ষ্মীর কোপে পড়তে পারেন।
বাস্তুমতে ঝাঁটা বা ঝাঁড়ু বাতিল করার জন্য তা পুড়িয়ে নষ্ট করে দেবেন না। বাইরে ফেলে দেন।
শাস্ত্রমতে বিশ্বাস করা হয় , আর্থিক সংকট দূর করার জন্য সোনার ঝাঁটা উপকারী। বলা হয়, একটি ছোট্ট সোনারর ঝাঁটা তৈরি করে সেটি ঠাকুরের আসনে রেখে প্রতি বৃহস্পতিবার পুজো করতে হবে। তাহলেই আর্থিক সংকট দূর হবে।
বাস্তুমতে কোনও প্রাণীকে ঝাঁটা দিয়ে মারা ঠিক নয় তাহলে পরিবারে আর্থিক সংকট লেগেই থাকে।