ভগবানকে নিবেদন করা সমস্ত উপকরণই যে সমস্ত দেব-দেবীর পছন্দ হয়, তা একেবারেই নয়। মন পরিস্থিতিতে ভগবানকে অন্ন নিবেদনের সময় অনেক বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
প্রত্যেকদিনই মানুষ নিজের বাড়িতে বিভিন্ন উপায়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে থাকেন। ভগবানকে খুশি করার জন্য অনেকেই অনেক রকম নৈবেদ্য দেন। অনেক বাড়িতে ভগবানকে ভোগ হিসাবে অনেকরকম খাবার-দাবার নিবেদন করার রীতি রয়েছে। তারপর প্রসাদ হিসাবে সেই খাবার নিজেরাই সেবন করেন পরিবারের মানুষজন। ভগবানকে খুশি করার জন্য অনেকে মোদক, মিষ্টি, বিভিন্ন ধরনের ফল এবং আরও অনেক উপকরণ নিবেদন করেন, তবে ভগবানকে নিবেদন করা সমস্ত উপকরণই যে সমস্ত দেব-দেবীর পছন্দ হয়, তা একেবারেই নয়। এমন পরিস্থিতিতে ভগবানকে অন্ন নিবেদনের সময় অনেক বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
-
জ্যোতিষী পণ্ডিতদের মতে, ভগবানকে অন্ন নিবেদনের সময় আমাদের অনেক কিছু মাথায় রাখা উচিত । মানুষ প্রায়শই ভগবানকে নৈবেদ্যতে তুলসী পাতা দিয়ে থাকেন। এটি কখনও করা উচিত নয়। তুলসী পাতা সব দেব-দেবী পছন্দ করেন না। ভগবান বিষ্ণু যেমন তুলসী পছন্দ করেন এবং তুলসি তাঁর প্রসাদে যোগ করা হয়। কিন্তু, এর বিপরীতে, দেবাদিদেব মহাদেবের প্রসাদে ভুলেও কখনও তুলসী পাতা যোগ করা উচিত নয়। এমনকি ভগবান গণেশের প্রসাদেও তুলসী পাতা রাখতে নেই। এই কাজ করলে ভগবান শঙ্কর এবং ভগবান গণেশ প্রচণ্ড রেগে যেতে পারেন এবং এর ফলে সমস্ত পুজোটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি সংসারে নিদারুণ আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।
ভগবানকে অন্ন নিবেদনের পর এই কাজগুলো করুন
জ্যোতিষীদের মতে, ভগবানকে অন্ন নিবেদনের পর অনেক ভক্তরা সেটি সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে নিয়ে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন, অথচ এমনটা মোটেই করা উচিত নয়। ভগবানকে খাবার দেওয়ার পর প্রথমে তা নামিয়ে তার একটি অংশ গরুকে খাওয়াতে হবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গরুকে ভগবানের প্রসাদ খাওয়ালে পুজোর বিশেষ ফল পাওয়া যায়। গরুকে প্রসাদের কিছু অংশ খাওয়ানোর পর তা নিজে খেয়ে অন্যান্য মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হয়। ভগবানকে অন্ন অর্পণের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে পূজার ফল অত্যন্ত শুভ হয়।