বিপর্যস্ত যোশীমঠ শিব-পার্বতী উপহার দিয়েছিলেন বিষ্ণকে, জানুন এর পৌরানিক বিশ্বাস ও ভবিষ্যৎ

আদি গুরু শঙ্করাচার্য এই জায়গাটিতে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন আগে তপস্যা করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। যোশীমঠ ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে এই এলাকা নিয়ে অনেক প্রাচীন বিশ্বাস আর গল্প রয়েছে।

 

অনেক ধর্মীয় বইতে যোশীমঠ আর বদ্রীনাথ ধামের কথা লেখা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে- ভবিষ্যতে ভূমিকম্প, খরা, বন্যার কারণে গঙ্গা বিলীন হয়ে যাবে। পৌরানিক কাহিনি অনুযায়ী নরসিংহ মন্দির মূর্তিও যেটি যোশীমঠে রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হবে। এই মূর্তি খণ্ডিত হয়ে যাবে বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন।

প্রাচীন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী যোশীমঠ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরেই বদ্রীনাথ ও কেদারনাথ তীর্থক্ষেত্র ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী ভূমি ধ্বসের কারণে নর ও নারায়ণ পর্বত একত্রে মিলিত হবে। এর ফলে নর নারায়ণ পর্বতের মাঝে অবস্থিত বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা যোশীমঠ থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। ভক্তরা আর বদ্রীনাথ ধাম দর্শন করতে যেতে পারবে না।

Latest Videos

ভবিষ্য বদ্রী তীর্থঃ

এই বইতে বলা হয়েছে ভবিষ্যতে বদ্রীনাথ ও কেদারনাথধাম বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। ভবিষ্য বদ্রী নামে একটি নতুন তীর্থের উদ্ভব হবে। এই স্থানটি চামোলির যোশীমঠ মন্দিরের কাছে সুভাইন তপোবনে অবস্থিত। জোশীমঠ হল বর্তমান বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ ধামের প্রধান ফটক। এখান থেকে রাস্তাটি উভয় তীর্থস্থানে যায়। জোশীমঠ থেকে বদ্রীনাথ ৪৫ কিমি এবং কেদারনাথ ৫০ কিমি দূরে।

তীর্থস্থানের প্রচীনত্বঃ

যোশীমঠ - ভারতের প্রাচীন তীর্থক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি । স্কন্দপুরাণে ভগবান শঙ্কর মা পার্বতীকে বলেছেন , হে প্রাণেশ্বরী এই এলাকা আমার মতই প্রাচীন। এই স্থানে আমি ব্রহ্মার রূপে পরম ব্রহ্মাকে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির জন্য লাভ করেছিলাম। সেই থেকেই এই জায়গাটা আমার পরিচিত। এই স্থান আর কেদার নাথ যেন স্বর্গের মত। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী যোশীমঠকে শিবের বিশ্রাম স্থল হিসেবে মনে করা হয়।

রামায়ণ, মহাভারত যুগের আগেও কেদারনাথ তীর্থযাত্রা বিদ্যমান ছিল। মহর্ষি বেদব্যাস মহাভারতের যুদ্ধে বংশ হত্যা এবং ব্রহ্মাকে হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পাণ্ডবদের কেদারনাথ তীর্থযাত্রার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ব্রহ্মার মতো দেবতারাও শিবের দর্শন পেতে এখানে ভ্রমণ করেন। সময়ে সময়ে আদিশঙ্করাচার্য, বিক্রমাদিত্য এবং রাজামিহির ভোজ এই তীর্থস্থানটির সংস্কার করেছিলেন।

তবে বদ্রীনাথের মন্দির সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। কথিত আছে সত্যযুগে ভগবান বিষ্ণু বদ্রীনাথ ধাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভগবান বিষ্ণু এখানেই বিশ্রাম নেন। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে আগে এই স্থানটি মা পার্বতী এবং ভগবান শিবের বাসস্থান ছিল, কিন্তু ভগবান বিষ্ণু এটি এত পছন্দ করেছিলেন যে তিনি একটি নৃত্য পরিবেশন করে এই স্থানটি তাদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে নিয়েছিলেন। একে সৃষ্টির অষ্টম স্বর্গও বলা হয়, যেখানে ঈশ্বর ছয় মাস জাগ্রত থাকেন এবং ছয় মাস ঘুমান। বলা হয় এটি প্রাচীনতম স্থান। চামোলির কর্ণ প্রয়াগে অবস্থিত এই স্থানে ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণু বাস করেন।

এটাও বিশ্বাস করা হয় যে আগে আদি বদ্রীনাথ একটি তীর্থস্থান ছিল, কিন্তু বর্তমান মন্দিরটি ১৫ শতকে তৎকালীন গাড়ওয়ালের রাজা রামানুজ সম্প্রদায়ের স্বামী বদ্রাচার্যের নির্দেশে তৈরি করেছিলেন। ইন্দোর রাজ্যের রানী অহিল্যাবাই হোলকার এখানে একটি সোনার কলস এবং ছাতা নিবেদন করেছিলেন। এই মন্দিরটি অলকানন্দা উপকূলে প্রায় ৫০ ফুট উঁচু।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee-র প্রশাসনকে বেলাগাম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর, দেখুন কী বললেন BJP নেত্রী
হিন্দুদের পাশে থাকায় শুভেন্দুকে প্রাণ নাশের হুমকি, দেখুন জবাবে কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
North Sonarpur Book Fair 2024: উত্তর সোনারপুর বইমেলা শুরু! ছোটদের বইমুখী করতে নতুন চমক, দেখুন
শতবর্ষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী Atal Bihari Vajpayee, শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্র নেতাদের | PM Modi News
'লুঙ্গিতে গিট বেঁধে আসুক, না হলে ওদের লুঙ্গিকে প্যারাসুট বানিয়ে ছেড়ে দেব' | Sukanta Majumdar Today