এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীতে উপবাস করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভক্তদের জীবন থেকে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে নিঃসন্তান নারীরা সন্তান লাভ করে।
Janmashtami 2023: হিন্দু ধর্মে প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর উত্সব অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই বছর জন্মাষ্টমী উৎসব ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার। এই বছর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বহু বছর পর এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে যা খুবই বিরল। শ্রীমদভাগবত পুরাণ অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্র কৃষ্ণ অষ্টমী তিথিতে, বুধবার, রোহিণী নক্ষত্র ও বৃষ রাশিতে।
শ্রাস্ত্রের নির্ধারিত দিন-ক্ষণের হিসাব অনুসারে এই বছর শ্রী কৃষ্ণের ৫২৫০তম জন্মাষ্টমী পালিত হবে। এবারের জন্মাষ্টমী খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পঞ্চাঙ্গ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীতে উপবাস করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভক্তদের জীবন থেকে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে নিঃসন্তান নারীরা সন্তান লাভ করে।
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভাদ্র অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই একে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বলা হয়। পঞ্চাং অনুসারে, এই বছর এই তারিখ বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টে ৩৭ মিনিট থেকে- শুরু হবে এবং ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টা ১৪ মিনিটে- শেষ হবে। ধর্ম পুরাণ অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম রোহিণী নক্ষত্রের রাতে। তাই এই বছর কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হবে ৬ সেপ্টেম্বর। রোহিণী নক্ষত্রের যোগ এই দিন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুরু হবে, যা পরের দিন ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে শেষ হবে। জন্মাষ্টমী উৎসব সাধারণত দুই দিন পালিত হয়। গৃহস্থরা ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী এবং ৭ সেপ্টেম্বর বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন করবেন।
জন্মাষ্টমী ২০২৩ এর শুভ মুহুর্ত-
জন্মাষ্টমীর তারিখ শুরু হবে বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টে ৩৭ মিনিট থেকে- শুরু হবে এবং ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টা ১৪ মিনিটে- শেষ হবে। যেখানে জন্মাষ্টমীর শুভ সময় হবে সকাল ১২ টা ২ থেকে ১২ টা ৪৮ পর্যন্ত। এই মুহুর্তে গোপালের পূজা করা হয়। নিয়ম-কানুন মেনে গোপালের পূজা করলে সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
আরও পড়ুন- শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় দ্বারকা নগর কেন বিলীন হল সমুদ্র গর্ভে, জেনে নিন এই পৌরাণিক কাহিনি
জন্মাষ্টমী ব্রত রাখলে পাপ ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
জ্যোতিষাচার্য বলেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে যে বিরল ঘটনা ঘটছে তাতে পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নির্ণয় সিন্ধু নামে একটি বই অনুসারে, জন্মাষ্টমীতে যখন এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটে, তখন এই বিশেষ উপলক্ষটিকে সেভাবে নষ্ট করা উচিত নয়। এমন কাকতালীয়ভাবে উপবাস করলে তিন জন্মের জ্ঞাত-অজানা পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয় যে এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। একজন ব্যক্তি ঈশ্বরের কৃপা লাভ করেন। যাঁরা বহু জন্ম ধরে ভৌতিক রূপে বিচরণ করছেন, তাঁরা এই তিথিতে পুজো করে মুক্তি পান। এই সংমিশ্রণে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করলে, আপনি সফলতা পাবেন এবং আপনি সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
জন্মাষ্টমীর উপবাস হবে বিশেষ
জ্যোতিষাচার্য বলেছিলেন, আপনিও যদি এই জন্মাষ্টমীতে উপবাসের সুবিধা নিতে চান, তবে এই সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না। যারা জন্মাষ্টমীতে উপবাস শুরু করতে চান তাদের এই বছর উপবাস শুরু করা খুবই শুভ হবে। যারা আগে থেকেই জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করছেন তাদের জন্য এবারের জন্মাষ্টমীর ব্রত খুব ভালো হবে।