কার্তিক মাসের শেষ দিনে সঠিকভাবে আচার-অনুষ্ঠান করলে উপবাসের পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই কার্তিক মাসে উদযাপন করার পদ্ধতি ও গুরুত্ব।
কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে পুজো উৎসর্গ করা হয়। ২৭ নভেম্বর সোমবার কার্তিক মাস শেষ হতে চলেছে। কার্তিক মাসে স্নান, দান ও উপবাসের গুরুত্ব বেশি। কার্তিক মাসের শেষ দিনে সঠিকভাবে আচার-অনুষ্ঠান করলে উপবাসের পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই কার্তিক মাসে উদযাপন করার পদ্ধতি ও গুরুত্ব।
-
কার্তিক শুক্লা চতুর্দশীতে, সকালে, গঙ্গা, যমুনা বা যে কোনও নদীতে স্নান করার পরে, তুলসীর উদ্দেশ্যে ধ্যান করা প্রয়োজন। এর জন্য চারটি দরজা দিয়ে একটি মণ্ডপ তৈরি করতে হবে। তারপর পূর্ব দরজা থেকে শুরু করে ক্রমানুসারে মাটির তৈরি চারটি দারোয়ান বসাতে হবে, তাদের নাম হবে, ১) বিনয়, ২) সুশীল, ৩) জয় এবং ৪) বিজয়। এরপর তুলসীর শিকড়ের কাছে একটি বেদী তৈরি করে সর্বতোভদ্রের চূড়ায় ব্রহ্মাদি দেবতাদের পূজা করে সেখানে স্থাপিত তামার কলসিতে লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি স্থাপন করতে হবে। এরপর ‘ইন্দ্র বিষ্ণুরীতি’ মন্ত্র উচ্চারণ করে ষোড়শোপচারের পূজা করুন। ৪ মাটির দারোয়ানদেরও পূজা করুতে হবে।
-
এই সময়ে ভগবান বিষ্ণুকে তুষ্ট করার জন্য রাত জেগে গান, বাদ্য-মঙ্গল ও অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে হয়। পূর্ণিমার দিন সকালে স্নান করে এসে শুদ্ধ হয়ে আগুন জ্বালান এবং ব্রাহ্মণ দ্বারা তিল, ঘি ইত্যাদি দিয়ে ভগবান বিষ্ণুকে হবন অর্পণ করুন এবং তারপর বিষ্ণুকে ঘি নিবেদন করে হোম শেষ করুন।
-
এই সময়ে দান ধ্যান করা খুবই উপকারী বলে গণ্য করা হয়। গরীব মানুষদের অন্ন, বস্ত্র, ইত্যাদি দিয়ে পূজা সম্পন্ন করতে হয়। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার খেতে দিন এবং প্রার্থনা করুন যেন, ঈশ্বরের নৈবেদ্য থেকে আপনি সুস্থতা লাভ করতে পারেন। কার্তিকের এই উপবাস ও উদযাপনের মাধ্যমে পরিবারের সাত জন্মের পাপ বিনষ্ট হয় এবং সুখ ও সৌভাগ্যের সমস্ত কামনা পূর্ণ হয়।